মুদ্রা বিনিময় চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে নেওয়া ২০০ মিলিয়ন ডলার ঋণের পুরোটাই পরিশোধ করেছে শ্রী🎃লঙ্কা। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক শীর্ষ কর্💫মকর্তা গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “শ্রীলঙ্কা শেষ কিস্তির ৫০ মিলিয়ন ডলার ও ঋণের সুদ বাবদ ৪.৫ মিলিয়ন ডলার বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে পরিশোধ করেছে। আমরা শুক্রবার সকা♐লে বিষয়টি জেনেছি।”
শ্রীলঙ্কা এমন সময়ে ঋণ পরিশোধ করল, যখন বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হচ্ছে, ফলে রিজার্ভ কমছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতি🔴বার পর্যন্ত দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২১.৪৫ বিলিয়ন ডলার।
এর আগে, গত ২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশকে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ফেরত দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। তার আগে ১৭ আগস্ট প্রথম কিস্তিতে ৫০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছিল দেশটি। মুদ্রা বিনিময় চুক্তির সময় শ্রীলঙ্কাকে তিন মাসের মধ্যে লন্ডন ইন্টারব্যাংক অফার রেট +২ শতাংশ সুদ হারসহ ঋণ পরিশ🔴োধের কথা ছিল।
লন্ডন ইন্টারব্যাংক অফার রেট আন্তব্যাংক বাজারে স্বল্পমেয়াদি ঋণের গ্লোবাল রেফারেন্স রেট এবং চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত স্বল্পমেয়াদি সুদের হারের বেঞ্চমার্ক হিসেবে কাজ করেছে। পরে লন্ডন ইন্টারব্যাংক অফার রেটের জায়গায় সিকিউরড ওভারনাইট ফিন্যান্সিং রﷺেট কাজ করে।
বাংলাদেশ ২০২১ সালে শ্রীলঙ্কাকে তিন কিস্তিতে এই ঋণ দিয়েছিল। ওই বছরের ১৯ আগস্ট প্রথম কিস্তিতে ৫০ মিলিয়ন ডলার, এর ১১ দিন পর দ্বিতীয় কিস্তিতে ১০০ মিলিয়ন ডলার এবং সেপ্টেম্বরে আরও ৫০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছিল। এটি ছিল কোনো দ𒀰েশকে দেওয়া বাংলাদেশের প্রথম ঋণ।
বিশ্লেষকরা বলছেꦅন, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতায় শ্রীলঙ্কা একটি দারুণ উদাহরণ হতে পারে। কারণ, দেশটি এখন ত𒉰াদের সংকটময় পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।
মাত্র এক বছর আগে শ্রীলঙ্কা তাদের ইতিহাসে চরম অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছিল এবং গত বছরের সেপ্টেম্বরে দেশটির মূল্যস্ফীতি ছিল ৬৯ দশমিক ৮ শতাংশ। কিন্তু চলতি বছরের জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কার মূল্যস্ফীতি হয় ৬♐ দশমিক ৩ শতাংশ, যা জুনের ১২ শতাংশের চেয়ে বেশ কম।