মজনু মিয়া। ঢাকার বিভিন্ন বাজারে বাদাম-বুট বিক্রি করেন। সারা দিনে তার ১২০০ টাকাও বিক্রি হয় না। আগে বিক্রি করতে পারতেন দু𒆙ই থেকে আড়াই হাজার টাকার। মজনু মিয়া বলেন, “হরতাল-অবরোধে মানুষ কম। যে কয়জন পাওয়া যায়, তাদের দিয়ে বিক্রি আগের মতো হয় না।”
শনিবার (২ ডিসেম্বর) সোনারগাঁও মোড়ে কথা♏ হয় তার সঙ্গে। এ রকম আরও বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয়। তাদের মধ্যে কেউ পান-সিগারেট বিক্রি করেন। কেউ ফুটপাতে নিয়ে বসেন চায়ের পসরা। ভিন্ন ভিন্ন এসব স্বল্প পুঁজির ব্যবসায়ীদের দোকান আলাদা হলেও কথাগুলো একই রকম।
এক মাসের বেশি সময় ধরে দেশে একের পর এক অবরোধ-হরতাল কর্মসূচি পালিত হয়ে♏ আসছে। এসব কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষের কাছে সবচেয়ে বড় আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে অগ্নিসংযোগের ঘটনা🔴গুলো। এতে অনেকেই নিজের প্রয়োজন ছাড়া বের হচ্ছে না। যে কারণে স্বল্প পুঁজির এসব ব্যবসায়ীর আয় কমেছে। অপর দিকে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমুখী বাজার।
পেট্রোবাংলার সামনের ফুটপাতে চা-বিস্কুট বিক্রি করেন মো. ওয়াসিম। কারওয়ান বাজারের অধিকাংশ ক্রেতা তার দোকানে খেয়ে থাকেন। তিনি বলেন, “বাজারে প্রতিটা জিনিসের দাম বেশি। মানুষের কাছে টাকা থাকে না। তাই আমাদেরও বিক্রি নেই। ধরেন কেউ ভেবেছে, প্রয়োজনীয় খরচ করার পর আমার কাছে চা খাবেন। কিন্তু খরচ শেষে দেখে তার বাড়ি যাওয়ার ভাড়াই ঠিকমতো নেই। ত🐷াহলে তিনি চা খাবেন কীভাবে? আর হরতাল-অবরোধের কথা কী বলব। মানুষ তো বের হতেই চায় না।”
পান সিগারেট বিক্রেতা আম্বিয়া বলেন, “এখন বেচাকেনা কম হওয়ায় ইনকাম (আয়) তেমনꦜ নাই। আর বাজারে তো সব জিনিসের দাম বেশি। কোনোরকমে ডাল-ভাত খেয়ে আছি আরকি। হরতাল-অবরোধের পর থেকে ইনকাম কমতে শুরু করেছে। পুঁজি করতে পার🍎ি না। হরতাল-অবরোধ না থাকাই ভালো।”