আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপের যুক্তরাষ্ট্রের ৯ বাড়ির বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দু꧑দক) ও বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) অনুসন্ধানে সহযোগিতা করতে গোলাপকেই নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (১৩ মার্চ) বিচারপ🐬তি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে আগামী দুই মাসের মধ্যে দুদককে অনুসন্ধানের প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে আইনজীবীরা বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ৪০ লাখ ডলার ব্যয়ে ৯টি বাড়ি কেনার বিষয়ে দুদক বিএফআইইউকে অনুসন্ধানের জন্য সহযোগিতা করতে আবদুস সোবহান মিয়াকে (গো♎লাপ) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারিতে গোলাপের ৯টি বাড়ি কেনার বিষয়ে দুদককে অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ওইদিনই বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তাল🐟ুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দিﷺয়েছিলেন।
এ বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান রিপোর্ট ৪ মাসের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্ট বলেছিলেন, দুর্নীতিবাজ যেই হোক না কেন, কোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে ভিন🙈্নতা হবে না।
এর আগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ব্যারিস্টা🐲র সায়েদুল হক সুমন যুক্তরাষ্ট্রের নিউꦅইয়র্কে ৪০ লাখ ডলার ব্যয়ে গোলাপের ৯টি বাড়ি কেনার বিষয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন।
এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান,♏ এনবিআর চেয়ারম্যান ও স্বরাষ্ট্র সচিবকে বিবাদী করা হয়।
তথ্য অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক ‘অরগানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট’ বা ওসিসিআরপির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবদুস সোবহান মিয়া যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ৪০ লাখ ডলার ব্যয়ে একাধিক বাড়ি কিনেছেন, যা নির্বাচনী🍷 হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেননি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সোবহান মিয়া ২০১৪ সালে প্রথম নিউইয়র্কে অ্যাপার্টমেন্ট কেনা শুরু করেন। ওই বছর নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটস এলাকায় একটি সুউচ্চ ভবনে অ্যাপার্টমেন্ট✤ কেনেন তিনি। পরের পাঁচ বছরে তিনি নিউইয়র্কে একে একে মোট ৯টি প্রপার্টি বা সম্পত্তির (ফ্ল্যাট বা বাড়ি) মালিক হন। এসব সম্পত্তির মূল্য ৪০ লাখ ডলারের বেশি (ডলারের বর্তমান বিনিময় মূল্য অনুযায়ী প্রায় ৪২ কোটি টাকা)।