• ঢাকা
  • শুক্রবার, ৩০ আগস্ট, ২০২৪, ১৫ ভাদ্র ১৪৩১, ২৪ সফর ১৪৪৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


কোরবানির আগে ফের বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম, চালকে ছাড়াল আলু


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুন ৪, ২০২৪, ০৪:৪৮ পিএম
কোরবানির আগে ফের বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম, চালকে ছাড়াল আলু
আলু-পেঁয়াজ-রসুনের দোকান। ছবি : সংবাদ প্রকাশ

বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগের পরও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না সরকার। সবজি থেকে শুরু করে প্রায় সব ধরনের জিনিসের দাম ঊর্ধ্বমুখী। আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা ঘিরে দাম আরও বাড়তে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে ঈদসংশ্লিষ্ট পণ্যের দাম বেড়꧟ে গেছে। চাহিদার শীর্ষে থাকা আলুর দাম চালকেও ছাড়িয়েছে। রাজধানীর বাজারগুলোতে আলুর দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ৫-১০ টাকা। তবে শুধু আলু নয়, রসুন, পেঁয়াজ, আদাসহ দাম বেড়েছে মসলারও। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।  

মঙ্গল꧅বার (৪ জুন) নগরীর কারওয়ান বাজারে আলু বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৬০ টাকা। যেখানে কিছু চাল প্রতি কেজি ৬০ টাকারও কমে পাওয়া যায়। এছাড়াও পেঁয়াজ ৮০, রসুন ২২০-২৪০, আদা ২৬০-২৮০, এলাচ ৩২০০-৪০০০ এবং জিরা বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়।

এর প্রায় ১৫ দিন আগে একই বাজারে আলু বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৫০🎶 টাকায়। পাশাপাশি একই সময়ের ব্যবধানে পেঁয়াজ ৭০, রসুন সর্বোচ্চ ১৯০, আদা ২ꦆ৩০, এলাচ ২ হাজার থেকে ৩ হাজার এবং জিরা বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৭০০ টাকায়।

বিক্রেতাদের দাবি, মজুদদাররা কৃত্রিম সংকটের চেষ্ট⛎ায় বাজারে বাড়ছে আলুর দাম। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, কোরবানির ঈদে আলু থেকে শুরু করে মসলার চাহিদা বেশি থাকায় ব্যবসায়ীরা যোগসাজশে বাড়াচ্ছে এসব নিত্যপণ্যের দাম। ফলে কোরবানির আগেই শিথিল হোক এসব নিত্যপণ্যের বাজার।

আলুর দোকান। ছবি : সংবাদ প্রকাশ

মগবাজার এলাকা থেকে কারওয়ান বাজারে মশলা কিনতে এসেছেন শিমুল। কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, “ক𝓰োরবানির ঈদের মশলা লাগবেই। ক্রেতাদের প্রয়োজনীয়তার দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসায়ীরা প্রতি বারেই দাম বাড়ায়। ঈদুল ফিতরে ছোলা, বেগুনসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়েছিল। এখন কোরবানি আসছে, তাই মশলার দাম বেড়ে গಌেছে। এটাই হয় আসলে।”

হৃদয় নামের আরেক ক্রেতা বলেন, “বাজারে অন্যান্য জিনিসের পত্রের দাম বে꧙শি হলে সাধারণ মানুষ আলু বেশি খায়। এখন আলুর দামও বাড়ছে। সামনে কোরবানি আসছে। মাংসের সঙ্গে অনেকেই আলু খায়। কোরবানির জন্যই দাম বাড়ছে। পেঁয়াজ, রসুন, আদা সবকিছুর দাম বেশি। সত্যি কথা বলতে, সাধারণ মানুষ অসহায়। কারণ দাম বাড়লেও⛦ বাধ্য হয়েই কিনতে হয়।”

বাজার করতে আসা স্বপন বলেন, “ঈদ-পার্বণ এলে দাম বাড়াতে হবে, এটা ব্🅠যবসায়ীদের নিয়ম। কোরবানির আসছে মশলা, পেঁয়াজ, রসুনের দাম বাড়াতে হবে, তাই বা🐭ড়িয়েছে। কারণ এটা এখন মানুষের প্রয়োজন। সাধারণ মানুষ কী করবে? বাধ্য হয়ে কিনতে হচ্ছে। কোরবানির আগে বাজারটা নিয়ন্ত্রণে আসা দরকার। নইলে মানুষকে এবার কোরবানিতে দুর্ভোগ পোহাতে হবে।”

মশলার দোকান। ছবি : সংবাদ প্রকাশ

মশলা বিক্রেতা জসীম উদ্দিন বলেন, “এলাচ আর জিরꦕার দাম বাড়ছে। কোরবানির পরে বা আগে দাম আরও বাড়বে না কমবে তা বলা যাচ্ছে না। এখন ক্রেতা কম। কোরবানির ৪-৫ দিন আগে ক্রেতা বাড়বে। এমনই তো প্রতিবার। তবে দাম কেন বাড়ছে জানি না।”

পেঁয়াজ বিক্রেতা আব্দুল সামাত বলেন, “গত কয়েকদিনের মধ্যে আলু, রসুন, আদা সܫবকিছুর দাম বাড়ছে। ঈদ আসতেছে এ জন্য দাম বেশি। আমরা কী করব? দাম বাড়ায় পাইকারি ব্যবসায়ীরাই। দাম বা𒆙ড়ালে আমাদের লাভ হয় না। কারণ দাম বাড়লে মানুষ কিনতে চায় না। তাই আমাদের লাভ হয় না।”

আলুর পাইকারি বিক্রেতা আনিফুল বলেন, “যারা কোল্ড স্টোরেজে আলু মজুদ করছেন, তারা আলু ছাড়ছেন না। তাই দাম বেশি। আলুর চাহিদা আছে বর্তমানে। কিন্তু দাম বাড়ায় এখন আলু কম কিনছে। কোরবানির আগে আর দাম🍰 ক꧅মার আশা নেই।” 

Link copied!