বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগের পরও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না সরকার। সবজি থেকে শুরু করে প্রায় সব ধরনের জিনিসের দাম ঊর্ধ্বমুখী। আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা ঘিরে দাম আরও বাড়তে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে ঈদসং꧑শ্লিষ্ট পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। চাহিদার শীর্ষে থাকা আলুর দাম চালকেও ছাড়িয়েছে। রাজধানীর বাজারগুলোতে আলুর দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ৫-১০ টাকা। তবে শুধু আলু নয়, রসুন, পেঁয়াজ, আদাসহ দা🧔ম বেড়েছে মসলারও। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
মঙ্গলবার (৪ জুন) নগরীর কারওয়ান বাজারে আলু বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৬০ ট𒁏াকা। যেখানে কিছু চাল প্রতি কেজি ৬০ টাকারও কমে পাওয়া যায়। এছাড়াও পেঁয়াজ ৮০, রসুন ২২০-২৪০, আদা ২৬০-২৮০, এলাচ ৩২০০-৪০০০ এবং জিরা বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়।
এর প্রায় ১৫ দিন আগে একই বাজারে আলু বিক্রি হয়েছে প্রতি ক🍷েজি ৫০ টাকায়। পাশাপাশি একই সময়ের ব্যবধানে পেঁয়াজ ৭০, রসুন সর্বোচ্চ ১৯০, আদা ২৩০, এলাচ ২ হাজার থেকে ৩ হাজার এবং জিরা বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৭০০ টাকায়।
বিক্রেতাদের দাবি, মজুদদাররা কৃত্রিম সংকটের চেষ্টায় বাজারে বাড়ছে আলুর দাম। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, কোরবানির ঈদে আলু থেকে শুরু করে মসলার চাহিদা বেশি থা𝓰কায় ব্যবসায়ীরা যোগসাজশে বাড়াচ্ছে এসব নিত্যপণ্যের দাম। ফলে কোরবানির আগেই শিথিল হোক এসব নিত্যপণ্যের বাজার।
মগবাজার এলাকা থেকে কারওয়ান বাজারে মশলা কিনতে এসেছেন শিমুল। কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, “কোরবানির ঈদের মশলা লাগবেই। ক্রেতাদের প্রয়োজনীয়তার দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে ꦫব্যবসায়ীরা প্রতি বারেই দাম বাড়ায়। ঈদুল ফিতরে ছোলা, বেগুনসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়েছিল। এখন কোরবানি আসছে, তাই মশলার দাম বেড়ে গেছে। এটাই হয় আসলে।”
হৃদয় নামের আরেক ক্রেতা বলেন, “বাজারে অন্যান্য জিনিসের পত্রের দাম বেশি হলে সাধারণ মানুষ আলু বেশি খায়। এখন আলুর দামও বাড়ছে। সামনে কোরবানি আসছে। মাংসের সঙ্গে অনেকেই আলু খায়। কোরবানির জন্যই দাম বাড়ছে। পেঁয়াজ, রসুন, আদা সবকিছুর দাম বেশি। সত্যি কথা বলতে, সাধারণ মানুষ অসহায়। কারণ দাম বাড়লেও বাধ্য হয়েই কিনতে হয়🌊।”
বাজার করতে ౠআসা স্বপন বলেন, “ঈদ-পার্বণ এলে দাম বাড়াতে হবে, এটা ব্যবসায়ীদের নিয়ম। কোরবানির আসছে মশলা, পেঁয়াজ, রসুনের দাম বাড়াতে হবে, তাই বাড়িয়েছে।ℱ কারণ এটা এখন মানুষের প্রয়োজন। সাধারণ মানুষ কী করবে? বাধ্য হয়ে কিনতে হচ্ছে। কোরবানির আগে বাজারটা নিয়ন্ত্রণে আসা দরকার। নইলে মানুষকে এবার কোরবানিতে দুর্ভোগ পোহাতে হবে।”
মশলা বিক্রেতা জসীম উ🦩দ্দিন বলেন, “এলাচ আর জিরার দাম বাড়ছে। কোরবানির পরে বা আগে দাম আরও বাড়বে না কমবে তা বলা যাচ্ছে না। এখন ক্রেতা কম। কোরবানির ৪-৫ দিন আগে ক্রেতা বাড়বে। এমনই তো প্রতিব🥂ার। তবে দাম কেন বাড়ছে জানি না।”
পেঁয়াজ বিক্রেতা আব্দ🉐ুল সামাত বলেন, “গত কয়েকদিনের মধ্যে আলু, রসুন, আদা সবকিছুর দাম বাড়ছে। ঈদ আসতেছে এ জন্য দাম বেশি। আমরা কী করব? দাম বাড়ায় পাইকারি ব্যবসায়ীরাই। দাম বাড়ালে আমাদের লাভ হয় না। কারণ দাম বাড়লে মা﷽নুষ কিনতে চায় না। তাই আমাদের লাভ হয় না।”
আলুর পাইকারি বিক্রেতা আনিফুল বলেন, “যারা কোল্ড স্টোরেজে আলু মজুদ করছেন, তারা আলু ছাড়ছেন না। তাই দাম বেশি। ဣআলুর চাহিদা আছে বর্তমানে। কিন্তু দাম বাড়ায় এখন আলু কম কিনছে। কোরবানির আগে আর দাম কমার আশা নেই।”