দেশের খ্যাতিমান চলচ্চিত্রকার ও রাজনীতিবিদ শফি বিক্রমপুরী মারা গেছেন। থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়꧂স হয়েছিল ৮০ বছর। পরিচালক সমিতির উপমহাসচিব অপূর্ব রানা বি𓄧ষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
🧜দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন শফি বিক্রমপুরী। গত জুনে ব্যাংককে যাওয়ার আগে ⛎রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। সেসময় শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল গুণী এই পরিচালকে।
১৯৪৩ সালের ৪ জুলাই মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানার মত্তগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন শফি বিক্রমপুরী। ১৯৪৮ সাল থেকে পরিবারের সঙ্গে ঢাকায় বসবাস শুরু করেন তিনি। ১৯৬৫ সালে দক্ষিণাঞ্চলের লোকজ প্রেমকাহিনী অবলম্বনে নির্মিত ‘গুনাই বিবি’ সিনেমাটি যৌথ প্রযোজনার মাধ্যমে তিনি প্রযোজক হিসেবে আত্মপ𝄹্রকাশ করেন।
১৯৭২ সালে খ্যাতিমান পরিচালক সুভাষ দত্ত পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সিনেমা ‘অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী’ এবং শহিদুল হক খান পরিচালিত ‘কলমি লতা’ সিনেমা দুটি যৌথভাবে প্রযোজনা ও পরিবেশনা করেন। ১৯৭৮ সালে সম্পূর্ণ রঙিন সিনেমা ‘রাজদুলারী’র মাধ্যমে পরিচালক হিসেবে তার 🍰অভিষেক ঘটে।
সিনেমার তৈরির পাশাপাশি রাজিনীতিতেও বেশ অবদান রয়েছে শফি বিক্রমপুরীর। তিনি বিক্রমপুরে নাসিমা শফি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ব🌄েগম ফাতেম🌳া আরশেদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়, আল মদিনা জামে মসজিদসহ নানা শিক্ষা ও ধর্মীর প্রতিষ্ঠান নির্মান করেন। এছাড়াও ঢাকার মালিবাগে ‘পদ্মা’ এবং ‘সুরমা’ নামে দু’টি সিনেমা হল নির্মাণ করেন শফি বিক্রমপুরী। পাশাপাশি ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জের সিনেমা হল মালিক সমিতির সভাপতি হিসেবেও দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন। এমনকি বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সরবোর্ডের সদস্যও গুণী এই নির্মাতা।