• ঢাকা
  • সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


জলবায়ু পরিবর্তনে আমাদের অস্তিত্ব সংকটের মুখে : পরিবেশমন্ত্রী


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৪, ২০২৪, ০১:৫৫ পিএম
জলবায়ু পরিবর্তনে আমাদের অস্তিত্ব সংকটের মুখে : পরিবেশমন্ত্রী
নবম আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলনে কথা বলছেন সাবের হোসেন চৌধুরী। ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের বায়ুদূষণের বড় একটি অংশের জন্যই দায়ী ট্রান্সবাউন্ডারি বাꦚয়ুদূষণ অর্থাৎ প্রতিবেশী দেশগুলোর বায়ু𝔉দূষণ। এমনটাই জানিয়েছেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।

সাবের হোস🐓েন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের বায়ুদূষণের ৩৫ শতাংশই হয় ট্রান্সবাউন্ডারি বায়ুদূষণের কারণে। তিনি আরও বলেছেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আমাদের অস্তিত্ব সংকটের মুখে পড়েছে।”

বুধবার (২৪ জানুয়ারিꦍ) রাজধানীর গুলশানের সিক্স সিজনস হোটেলে দু🍸ই দিনব্যাপী ‘নবম আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলনের’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

আন্তর্জাতিক বেসরকারি সং𒁏স্থা অ্যাকশন꧃এইড ২০১৬ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে এই সম্মেলনের আয়োজন করছে।

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ৩ﷺ৫ শতাংশ বায়ুদূষণ হয় এখান থেকে। রিজওনাল 𒉰ডাইমেনশনে এখন বায়ুদূষণ হচ্ছে। এসব সমস্যা সমাধানের জন্য আঞ্চলিকভাবে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

তিনি বলেন, “জলবায়ু পরিব♉র্তনের কারণেℱ আমাদের অস্তিত্ব সংকটের মুখে। জলবায়ু পরিবর্তনকে খাটো করে দেখার উপায় নেই। যদি বলি সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতার কথা, বরফ গলে যাওয়ার কথা, জলবায়ু সংকটের কারণে শরণার্থী বাড়ার কথা—তাহলে এখানে পানির একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। জলবায়ু সমস্যা সমাধানে পানির বিষয়টি আমাদের মাথায় রাখতে হবে।”

পানির বিষয়টি অধিকতর গুরুত্ব𝓀 দিয়ে বিবেচনার কথা উল্লেখ করে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, “আমরা যে টেকসই উন্নয়নের কথা বলি, সেখানে পানির বিষয় আছে। এ ধরনের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যারা অংশ নিচ্ছ💖েন, এটা শুধু তাদের জন্য না। সম্মেলন থেকে যে সুপারিশ থাকবে তা নীতি নির্ধারণে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”

পরিবেশমন্ত্রী সরকারের পরিকল্পনার বিষয়ে বলেন, বায়ুদূষণ প্রতিরোধে ১০০ দিনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পদক্ষেপ সরকার নিয়েছে। বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে 🤪আলোচনা করা হবে। নানা পদক্ষেপের কথা বলা হলেও দক্ষতা কতটা আছে সেটাও দেখতে হবে।

অনুষ্ঠানে অ্যাকশনএইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির বলেন, “বাংলাদেশ একটি ডেলটা ܫকান্ট্রি। এখানে শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি সবকিছুই নদী ও পানির সঙ্গে জড়িয়ে। তাই আমরা এবারের সম্মেলনে নদী, পানি ও জলবায়ু প🍷রিবর্তনকে আমাদের মূল বিষয় হিসেবে নিয়েছি।”

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নারদিয়া সিম্পসন, অ্🔯যাকশনএইড ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ সোসাইটির চেয়ারপারসন ইব্রাহিম খলিল আল-জায়াদ। 

‘জলবায়ু পরি꧑বর্তনের রাজনীতির মোকাবিলা‍‍’ শীর্ষক মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভ💟াগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ।

উল্লেখ্য, গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা বিশ্ব ব্যাংকের প্রকাশিত বায়ুদূষণ বিষয়ক ‘স্ট্রাইভিং ফর ক্লিন এয়ার: এয়ার পলিউশন অ্যান্ড পাবলিক হেলথ ইন সাউথ এশিয়া’—শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের বায়ুদূষণের ৩০ শতাংশই মূলত ট্রান্সবাউন্ডারি বায়ুদূষণ। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শহরগুলোর বায়ুদূষণের আন💞ুমানিক ৩০ শতাংশেরই উৎপত্তি ভারতে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে। সেখান থেকে তা বাতাসের মাধ্যমে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে আসে বাংলাদেশে।

Link copied!