পণ্যের জাতীয় মান নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) মহাপরিচালক এস এম ফেরদৌস আলম বলেছেন, “কাঁচাবাজারসহ নিত্যপণ্যের বাজারে অভিযানকালে পণ্যের গুণগত মান, ওজন, মেয়াদ সবকিছুই নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে কোনো লোক দেখানো নয়, সত্যিকা🤪র অর্থেই বাজারে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বিএসটিআই।”
সোমবার ❀(১২ আগস🥀্ট) রাজধানীর উত্তরায় বিডিআর মার্কেটে পণ্যের গুণগত মান তদারকির সময় তিনি এসব কথা বলেন।
এদিন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালকের নেতৃত্বে একটি দল বিডিআর মার্কেটসহ কয়েকটি বাজারে পণ্যের মান যাচাই-বাছাই করা হয়। এছাড়াও এয়ারপোর্ট সংলগ্ন এক☂টি পাম্পেও অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এস এম ফেরদৌস আলম বলেন, “আমরা বিএসটিআইয়ের পক্ষ থেকে পণ্যের মান ডেভেপলপ করি। শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে পণ্য উৎপাদন হলেই সেটা বাজারজাত করতে পারবেন, বিষয়টি এমন নয়। এ♓কজন ব্যবসায়ী চাইলেই যে তার পণ্য বিদেশে রপ্তানি করতে পারবে, এমনও নয়। পণ্য বাজারজাত করতে হলে অবশ্যই আমাদের সার্টিফিকেট নিতে হবে। আর সেটি অবশ্যই ল্যাবে পরীক্ষা করাতে হবে। ল্যাবে পরীক্ষা করে যতক্ষণ না পর্যন্ত আমরা জান🍒তে পারব এই পণ্য মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর নয়, ততক্ষণ পর্যন্ত সেই পণ্য আপনি বাজারজাত করতে পারবেন না।”
বিএসটিআই মহা꧃পরিচালক বলেন, “উত্তরা বিডিআর মার্কেট ভালো মার্কেট। এখানে মাছ, মাংস, ডিম, সবজিসহ সবকিছু এখানে পাওয়া যায়। আমরা টিম নিয়ে এখানে এসেছি এবং অনেক পণ্য পরীক্ষা করলাম। মাছের ক্ষেত্রে আমরা দেখলাম, মাছের ওজন ঠিক আছে কি না, মাছে গুণগত মান ঠিক আছে কি না ইত্যাদি। এখানে মাছ ব্যবসায়ীরা কালার লাইট ব্যবহার করছে। পরে আমরা ব্যবসায়ীদের জিজ্ঞেস করেছি, তারা কেন কালার লাইট ব্যবহার করছে। মূল কথা হলো, কালার লাইট ব্যবহার করলে মাছের কালার পরিবর্তন হয়ে যায়। ফলে কোনটা পচা, আর❀ কোনটা টাটকা মাছ চেনার কোনো উপায় নেই।”
এস এম ফেরদৌস আলম আরও বলেন, “আমরা ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেছি। এখানে শিক্ষার্থীরা 🍌ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেছে। সুতরাং শিক্ষার্থীদের আহ্বান ছোট করে দেখার কারণ নেই। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে এমন অভিযান বা তদারকি নিয়মিতই পরিচালনা করা হবে। বাজারগুলোতে আগের চেয়ে অনেক শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে।”