ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু আখতারুজ্জামান শাহীনের বাংলো⛄তে গভীর রাতে চোরাচালানের লেনদেন হতো নিয়মিত। পাচার হতো সোনা ও হীরার চালান। রাতে মাঝেমধ্যে শোনা যেত বাদ্যবাজনা ও গানবাজনা। পুলিশ বলছে, শাহীনের বাংলোতে এমন কোনো অপরাধ নেই, যা হতো না।
ইতিমধ্যে বাংলোর চারপাশ ও ভেতরের অন্তত ১০টি সিসি ক্যꦫামেরার ফুটেজ স🍒ংগ্রহ করেছে পুলিশ। ফুটেজে চালান পাচার ও রাজনীতিবিদ, আমলা ও পুলিশের কিছু কর্মকর্তার অবাধ যাতায়াতের তথ্য পেয়েছে পুলিশ। যারা ওই সব বাংলোতে আসা-যাওয়া করেছেন, তাদের তালিকা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে এলে প্রায়ই শাহীন থাকতেন বাংলোতে। তিনি আসার পর মাঝেমধ্যে গাড়িতে করে আসা-যাওয়া করত অনেকেই। বাংলোতে রয়েছে নিজস্ব বাবুর্চি। রান্না করে চলত খাওয়াদাওয়া ও ভূরিভোজ। রাতে মাঝেমধ্যে শোনা যেত বাদ্যবাজনা ও গানবাজনাꦿ।
বাংলোটি ছিল অপরাধের আখড়া। আমলা, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, নায়ক, নায়িকা, মডেল ও সংসদ সদস্য আনারের যা⭕তায়াত ছিল নিয়মিত। ফুটেজেও তাদের আসা-যাওয়ার ছবি দেখা গেছে। আবার কিছু ছবি স্পষ্ট দেখা গেছে। যারা ওই সব বাংলোতে আসা-যাওয়া করেছেন, তাদের তালিকা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, ঝিনাইদহের গেদে সীমান্ত, জীবননগর, মহেশপুর জিন্নান🉐গর, সꦍামান্তা, মাটিলা, যাদবপুর, সামুন্দা বাগাডাঙ্গা, শ্যামকুড় সীমান্ত দিয়ে স্বর্ণ চোরাচালানের সাবস্টেশন হিসেবে ব্যবহার করা হয় এ বাংলো। চারদিকে কাঁটাতারবেষ্টিত বাংলো। পাচারের সোনা এনে জড়ো করা হতো এ বাড়িতেই। পরে কোটচাঁদপুরের কিছু নির্দিষ্ট লোকজন সোনার চালান নিয়ে সীমান্তে চলে যেত। শীর্ষ মাদক কারবারিরাও বাংলোতে যাতায়াত করতেন।
ইতিমধ্যে বাংলোর চারপাশ ও ভেতরের অন্তত ১০টি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ কর🅷েছে পুলিশ।