জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। বাজেট পেশের সময় মূল্যস্ফীতি𒊎র লাগাম ৬ দশমিক ৫০ শতাংশে বেঁধে রাখার প্রত্যাশা কর𝕴েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রস্তাবিত এ বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্🐼থিত ছিলেন।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে জোর দিয়েছে সরকা♕র।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যা ব্যুরোর (বিবিএস) এক পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীত🐭ি হয়েছিল ৯ দশমিক💖 ৭৪ শতাংশ, যা ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। মে মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার আরও বেড়ে ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ হয়।
এদিকে সাড়ে ৬ শতাংশে মূল্যস্ফীতি নামিয়ে আনাকে চ্যালেঞ্জ বলছেন অর্থনীতিবিদরা। তবে সাড়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনা কঠিন হলেও কিছু পলিসি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন চলমান রাখলে কাছাকাছি যাওয়া সম্⭕ভব বলেও মত অর্থনীতিবিদদের।
দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রস্তাবিত এ বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। যা আগের অর্থবছরের (২০২৩-২৪) চেয়ে ৩৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। চল🦹তি 🐽অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল ৭ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকা। এবারের বাজেট বক্তব্যের প্রতিপাদ্য ধরা হচ্ছে ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’।
এবারের বাজেটের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার।’ অর্থমন্ত্রীর প্রথম বাজেট হলেও 🌊টানা চতুর্থ মেয়াদে গঠিত বর্তমান সরকারের এটি প্রথম বাজেট এবং প্রধানমন্ত্রী শℱেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের ২১তম বাজেট।
আগামী বাজেটে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের বাজেটেও একই লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। পরে যদিও লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে করা হয় ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। অথচ চলতি অর্থবছরজুড়েই মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ শতাংশের বেশি। এদিকে আগামী অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার ধরা হচ্ছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে এ হার ৭ দ꧑শমিক ৫ শতাংশ ধরা হলেও পরে 🍃তা ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়।
আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হচ্ছে পাঁচ ল🅘াখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে চার লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। করবহির্ভূত ও অন্🌼যান্য আয়ের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। কর ছাড়া প্রাপ্তি ধরা হয়েছে ৪৬ হাজার কোটি টাকা। আর বৈদেশিক অনুদান থেকে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।