চারদিকে শীতের আমেজ শুরু হয়েছে। আর এই শীতে কর্মব্যস্ততা কাটিয়ে কোথাও ঘুরে আসতে কার না ভালো লাগে। তবে সেই ছুটিই বা কই। সাপ্তাহিক ছুটিতেও অনেকেরই ব্যক꧙্তিগত কিছু জরুরি কাজ থাকে। যার কারণে অবকাশ যাপনের সুযোগ পাওয়া যায় না। তবে সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে সরকারি ছুটি পেলেই কোথাও ঘুরে আসা যায়।
আর এবছর সাধারণ ছুটির মধ্যে ডিসেম্বরে রয়েছে বিজয় দিবস ও বড়দিনের ছুটি। ১৬ ডিসেম্বর সোমবার। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) একদিন ছুটি ম্যানেজ করতে পারলেই শুক্র ও শনিবার (১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর) মিলিয়ে টানা ৪ দিনের ছুটি নিতে পারবেন সরকারি চাকরিজীবীরা। এ ছাড়া ২৫ ডিসেম্বর বুধবার। তাই বৃহস্পতিবার একদিন ছুটি ম্যানেজ করতে পারলেই টানা চারদিন ছুটি পেতে পারবেন সরকারি চাকরিজীবীরা।
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দেশের সব সরকারি ও আধা-সরকারি অফিস এবং সংবিধিবদ্ধ স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থায় এ দুদিন ছুটি পালন করা হবে। তবে যেসব অফিসের সময়সূচি ও ছুটি তাদের নিজস্ব আইন-কানুন দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে বা যেসব অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের চাকরি সরকার থেকে অত্যাবশ্যক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান নিজস্ব আইন-কানুন অনুযায়ী জনস্বার্থ বিবেচনা করে এ ছুটি ষোষণা করবে।
এদিকে ২৪ ও ২৬ ডিসেম্বর যিশু খ্রিস্টের জন্মোৎসব (বড়দিনের আগে ও পরের দিন) হচ্ছে খ্রিষ্টান পর্বের ঐচ্ছিক ছুটি।
ছুটির প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, একজন কর্মচারী🥃কে তার নিজ ধর্ম অনুযায়ী বছরে অনধিক মোট তিন দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার অনুমতি দেয়া যেতে পারে। প্রত্যেক কর্মচারীকে বছরের শুরুতে নিজ ধর্ম অনুযায়ী নির্ধারিত তিন দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের পূর্ব অনুমোদন নিতে হয়। সেক্ষেত্রে বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের জন্য তিন দিন ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার সুযোগ রয়েছে।