চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে নেই। অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে ভেঙে পড়েছে বাজার ব্যবস্থা। গত সাড়ে পাঁচ বছরে মোটা চালের দাম বেড়েছে ৩০ শতাংশ। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে যে মোটা 📖চালের দাম ছিল ৪০ টাকা কেজি, গেল মে মাসে তা বিক্রি হয়েছে ৫২🅷 টাকায়। একই সময়ে অপেক্ষাকৃত বেশি মূল্যের মিনিকেট ও পাইজাম চালের দাম বেড়েছে যথাক্রমে ১৭ ও ১৮ শতাংশ। এই দুটি চাল এখন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৮ টাকা ও ৫৫ টাকায়।
রোববার (২ জুন) গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ‘বাংলাদেশ অর্থনীতি ২০২৩-২৪: ত🦋ৃতীয় অন্তর্বর্তীকালীন পর্যালোচনা’ শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে সংস্থাটির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এসব🎉 কথা বলেন।
খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, “মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে না 🐈পারা সরকারের জন্য বড় 🐓ধরনের ব্যর্থতা। ২০১৯ সাল থেকে খাদ্যমূল্য বিবেচনা করলে মূল্যস্ফীতি অস্বাভাবিক। আয় কম, কিন্তু খাবারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করতে হয়। ধনী ও গরিবের মধ্যে বৈষম্য বেড়েছে। গরিবের আয় বাড়েনি। জিডিপিতে জাতীয় আয় বাড়ছে। কিন্তু কর্মসংস্থানের ভূমিকা রাখতে পারছে না।”
সিপিডির গবেষণা পরিচালক বলেন, “মূল্যস্ফীতিতে আমরা ৯ ও ১০ শত🤡াংশে অবস্থান করছি। ব🦩র্তমানে শ্রীলঙ্কার চেয়েও বেশি।”
খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম জানান, তাদের পর্যালোচনা দেখা গেছে, গত ৫ বছরে꧂ মসুর ডাল ৯৫, আটা ৪০-৫৪, ময়দা ৬০, খোলা সয়াবিন ৮৪, বোতলজাত সয়াবিন ৫৬ ও পামওয়েলে দাম ১০৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গরুর মাংসের দামও বেশি। ব্রয়লার মুরগি ৬০ ভাগ, চিনির ১৫২ ভাগ, গুঁড়া দুধ ৪৬-৮০, পেঁয়াজ ১৬৪, রসুন ৩১০ ও শুকনা মরিচের দাম ১০৫ ভাগ বেড়েছে।
খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, “বাংলাদেশ নিম্ন আয়ের দেশ হয়েও বি💫লাসী দেশে পরিণত হয়েছে। আমরা আয় করি কম। কিন্তু খাবারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করতে হয়, যার ভুক্তভোগী গরিব ও সাধারণ মানুষ।”
ধনী ও গরিবꦓের বৈষম্য বৃদ্ধি পেয়ে😼ছে উল্লেখ করে সিপিডির গবেষণা পরিচালক বলেন, “বর্তমানে মাথাপিছু অভ্যন্তরীণ আয় দুই হাজার ৬৭৫ মার্কিন ডলার, আর মাথাপিছু জাতীয় আয় দুই হাজার ৭৮৪ ডলার। মাথাপিছু গড় আয় যতটুকু পেয়েছি, মূলত উচ্চ আয় যারা করেন তাদের কারণে।”
খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম আরও বলেন, “গরিব মানুষদের কথা বিবেচনা করলে তাদের আয় কমে গেছে। এখানে বৈষম্য বেড়েছে। তাদের উন্নতি হয়নি। বেসরকারি বিনিয়োগ দেখা যাচ্ছে না। এক্ষেত্রে সরকারের নেওয়া অতিরিক্ত ঋণ একটি বড় কারণ। বিষয়টি সরকারকে নিয়ন্ဣত্রণ করতে হবে। সরকারের যে সাড়ে ৭ শতাংশ বিনিয়োগ লক্ষ্💝যমাত্রা তা অর্জিত হবে না বলে মনে করছি।”