আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ও🎶বায়দুল কাদের বলেছেন, “৭৫-এর ১৫ আগস্টে এই বাংলার মাটিতে বিশ্বাস ঘাতকতায় বলি হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবসহ গোটা পরিবার। আজকে অর্জন থেকে পরাজয়, কোথা থেকে আমরা কোথায় এসেছি তার ইতিহাস জানা জর♍ুরি।”
সোমবার (২৮ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশ (ꦆআইইꦬবি) চত্বরে ‘উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের আস্থার ঠিকানা বিএনপি। এতো বছরেও বিএনপি কোনো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি। আন্দোলন, সংগ্রাম আর রক্ত ঝরিয়ে আওয়ামী লীগের গতি থামাতে পারবে না। তাদের আন্দোলন মুখথুব🌺ড়ে পড়েছে। লন্ডন থেকে অ༺নলাইনে ডাক দিয়ে আন্দোলন হয় না। বিএনপির আন্দোলনে জনগণ নেই, আছে কেবল নেতাকর্মী।”
কাদ𝓀ের বলেন, “জনগণ যে আন📖্দোলনে নেই সেই আন্দোলন পৃথিবীর কোথাও সফল হয়নি। বাংলাদেশেও হবে না। রাজনীতি করুন, তবে ষড়যন্ত্র করবেন না। রাজনীতি করুন, কিন্তু মানুষ পোড়ালে খবর আছে।”
সেতুমন্ত্রী বলেন, “নির্বাচনকে সামনে রেখে ষড়যন্ত্রকারীরা প্রস্তুত হচ্ছে, আমরাও প্রস্তুত হচ্ছি। বিএনপির তিন নেতা বিদেশে গেছে, আবার জাতীয় পার্টিও বিদেশে গেছে🐠। নির্বাচন এলে অনেক কিছুই হয়। কিন্তু ষড়যন্ত্র ও মানুষ পোড়ানোর রাজনীতি করবেন না। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু মাত্র তিন বছর সাত মাস ক্ষমতায় ছিলেন। তিনি দেশ গঠনে কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু তাকে বাঁচতে দেওয়া হলো না। মীরজাফরের জায়গায় মোশতাক আর সেনাপতি ইয়ার লতিফের জায়গায় জিয়াউর রহমান। তারা বঙ্গবন্ধুকে বাঁচতে দেয়নি।”
কাদের বলেন, “জিয়াউর রহমান যদি বঙ্🍬গবন্ধুকে হত্যার সাহস না দিত, তাহলে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে সাহস পেতো কি না আমার💟 সন্দেহ লাগে। হত্যা হত্যাকে ডাকে। একটা গোষ্ঠী জিয়াউর রহমানকেও হত্যা করেছে। জিয়াউর রহমান নিজেও বাঁচতে পারেননি। ১৫ আগস্টের মাস্টার মাইন্ড হলো জিয়াউর রহমান ও মোশতাক। সেই জিয়াউর রহমান ও মোশতাক জেল হত্যার মাস্টার মাইন্ড। তা তদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করেছেন।”
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “যে বুলেট ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ হাসিনাকে এতিম করেছে, সেই একই বুলেট বেগম জিয়াকে ১৯৮১ সালের ৩০ মে বিধবা করেছে। জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালে শেখ হাসিনাকে মারতে পারেনি। কিন্তু ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করে তার ছেলে ত꧂ারেক রহমান।
তৎকালীন বিএনপির ღক্ষমতার কথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করেছিল। জয় বাংলা জাতীয় স্লোগান বলা বন্ধ করে 🎃দিয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান করা হয়েছে।”
‘তারেক রাজনীতি করবেন না বলে༺ মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে পালিয়ে গেছে’ মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “তারেক লন্ডনের টেমস নদীর ওপর থেকে ডাক দিলে মনে হয় বাংলাদেশ পানিতে ভেসে যাবে। কিন্তু তা কখনো হবে না। বিএনপি বলেছিল ১০ তারিখে খালেদা জিয়া দেশ পরিচালনা করবে, ১১ তারিখে তারেক রহমান দেশে আসবে। কোথায় গেল সেই কথা? যে আন্দোলনের সঙ্গে জনগণ নেই সেই আন্দোলন সফল হয় না। এটা পৃথিবীর কোথাও নাই যে গণআন্দোলন জনগণ ছাড়া সফল হয়েছে।”
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, “বিএনপি আবার যদি ক্ষমতায় যায়, তাহলে তারা গণতন্ত্র গিলে খাবে। তারা আওয়ামী লীগেরꦬ নেতা-কর্মী ও মুক্তিযুদ্ধের শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করবে। বিএনপির হাতে ক্ষমতা গেলে এ দেশকে পাকিস্তান বানাবে।”