প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জলবায়ু পরিবর্তন সচেতনতা বাড়াতে তরুণদের নিয়ে আরও কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “জলবায়ু ন🌳িয়ে তরুণদের মধ্যে বিরাট পরিবর্তন এসেছে। কারণ, তাদের নিরাপদ জীবন দেখতে চায়। তারা নতুন করে স্বপ্ন দেখছে। তাদের ছেলেমেয়েরা কি এই পরিবেশে বসবাস করতে পারবে? এমন চিন্তা তাদের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। পরিবেশ রক্ষার নতুন নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করে যদি তাদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পা⛎রি, তবে হয়তো পৃথিবী রক্ষা হবে।”
বুধবার (১৩ নভেম্বর) আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে স্থানীয় সম🌺য় বিকেলে কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলনের ফাঁকে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধান উপদেষ্টা এস🐽ব কথা বলেন।
নোবেলজয়ী ড. ইউনূস বলেন, “জলবায়ু সমস্যা হচ্ছে একটি ঘরে আগুন দেওয়ার মতো অবস্থা। এখন সেই ঘর গরিবের নাকি ধনী লোকের সেটা বিবেচ্য নয়। কারণ ঘর তো একটাই। ঘর একটাই পৃথিবী একটাই। মনে করার꧃ কোনো কারণ নেই তুমি দুনিয়ার বুকে বেঁচে থাকবে, আর গরিবরা মরে যাবে। এই আগুনে সবাইকে পুড়তে হবে।”
ড. ইউনূস বജলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি উন্নত দেশগুলো এখন বুঝতে পারছে। একসময় এই নিয়ে যারা আন্দোলন করত তাদের পাগল মনে করত। তারা পাগলামি করতে করতে পলিটিক্যাল পার্টি হয়ে গেছে।”
মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় জলবায়ু তহবিলে কোনো পরিবর্তন আসবে কি না তা দেখার জন্য আরও কয়েক মাস অপেক্ষা করত🌃ে হবে। তিনি কী চরিত্র নিয়ে আসেন, সেটা দেখার অপেক্ষায় আছি। এর আগে আমরা তাকে ওয়ান পয়েন্ট জিরো চরিত্রে দেখেছি। ‘টু পয়েন্ট জিরোতে’ দেখিনি। তাই আরও কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হবে।”
দৈনন্দিন জীবনযাপনের ক্ষেত্রে অভ্যাস পরিবর্তনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “সপ্তাহে যদি এক দিন ফসিল ফুয়েল (জীবাশ্ম জ্বালানি) ব্যবহার না করি, মানে এখন থেকে ছয়দিন ফসিল ফুয়েল ব্যবহার করব। তারপর পাঁচ দিন, এরপর চ🧜ার দিন এক সময় গিয়ে শূন্য। এভাবে অগ্রসর হতে হতে থ্রি জিরো ভার্সন করতে পারলে একদিন পুরো পৃথিবী বদলে যাবে।”
সূত্র : বাসস