গাইবান্ধা-১ আ💙সনের সংসদ সদস্য (এমপি) মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যাকাণ্ডের মূল পরিল্পনাকারী ছিলেন একই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল কাদের খান। হত্যাকাণ্ডের নীলনকশা সম্পর্কে বছর খানেক আগেই চন্দন কুমার রায়ের (৪৩) সঙ্গে আলোচনা করেন আব্দু𒁃ল কাদের খান। লিটন হত্যার সার্বিক কাজের সমন্বয় করেন চন্দন।
সো🐎মবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য 𒈔জানিয়েছেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
লিটন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডের আসামি চন্দনকে রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে সাতক্ষীরার ভোমরা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব সদরদপ্তরের গোয়েন্🐭দা শাখা, র্যাব-৩ ও র্যাব-৬।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সুন্দরগঞ্জ এলাকায় নিজ বাড়িতে গুলিতে নিহত হন গাইবান্ধা-১ আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য লিটন। এ ঘটনায় নিহতের ছোট বোন সুন্দরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিল মূল পরিকল্পনাকারী আবদুল কাদের খানসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। তাদের মধ্যে হ♌ত্ꦿযাকাণ্ডের প্রধান সমন্বয়কারী চন্দন ছাড়া বাকি সাতজন গ্রেপ্তার হন।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক আღরও জানান, লিটন হত্যা মামলার তদন্ত কার্যক্রম শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিল মূল পরিকল্পনাকারী আবদুল কাদের খানসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। তাদের মধ্যে হত্যাকাণ্ডের প্রধান সমন্বয়কারী চন্দন কুমার রায় পলাতক ছিলেন। ২০১৯ সালের ২৮ নভেম্বর বিচার কার্যক্রম শেষে গ্রেপ্তার ছয়জন এবং পলাতক আসামি চন্দনসহ মোট সাত আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। মামলার এক আসামি সুবল চন্দ্র কারাগারে বিচারাধীন থাকাকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পলাতক চন্দন কুমার রায়কে গ্রেপ্তারে ইন্টারপোল কর্তৃক রেড নোটিশ জারি করা হয়। সম্প্রতি গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, পলাকত চন্দন দেশে অবস্থান করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা, র্যাব-৩ ও র্যাব-৬-এর যৌথ অভিযানে সাতক্ষীরার ভোমরা এলাকা থেকে পলাতক চন্দনকে (৪৩) গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাবের কমান্ডার ꦅআরও জানান, গ্রেপ্তার চন্দন কুমার রায় সুন্দরগঞ্জ আওয়ামী লীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক ছিলেন। ২০১৫ সালের মাঝামাঝি সময় সংসদ সদস্য লিটনের সমর্থিত লোকজনের সঙ্গে তার মারামারির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় চন্দন গুরুতর আহত হয়েছিলেন।
জিজ্ঞাসাবাদে চন্দন জানান, সংসদ সদস্য লিটনের প্ররোচনায় চন্দনকে একটি মামলার আসামি বানিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করানো হয়। ওই মামলায় চন্দন ১৯ দিন কারাভোগ করেছিলেন। তার বিরুদ্ধে থাকা চাঁদাবাজি, নারী নির্যাতনসহ অন্যান্য মামলা 🧸থেকে অব্যাহতি পাওয়ার জন্য তিনি এমপি লিটনের সহযোগিতা চেয়েছিলেন। কিন্তু এমপি লিটন তাকে আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে বলেন। এতে এমপি লিটনের প্রতি চন্দনের ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ে দুর্নীতি, চাঁদাবাজির অভিযোগে ২০১৬ সালে চন্দনকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করে সংসদ সদস্য লিটন। এরপর সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল কাদের খানের পিএস শামসুজ্জোহার সঙ্গে পরিচয়ের সূত্র ধরে সখ্য তৈরি হয়। এদিকে চন্দনের ভগ্নিপতি সু🐎বল রায় এমপি লিটনের বাড়ির দারোয়ান হিসেবে কাজ করতেন। সেই সুবাদে লিটনের চলাফেরার বিষয়ে তথ্য জানা সহজ ছিল চন্দনের। এমপি লিটনকে হত্যাকাণ্ডের কয়েকটি পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ায় আবদুল কাদের খান চন্দনের সহযোগিতা চান। নতুন পরিকল্পনার মাধ্যমে লিটনকে হত্যা করা সম্ভব হয় তাদের।