বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে জাপানকে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান। তিনি বলেছেন🅷, “বাংলাদেশ এবং জাপানের বন൲্ধুত্ব বর্তমানে কৌশলগত পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। জাপান বাংলাদেশের পরীক্ষিত উন্নয়নের অংশীদার।”
বুধ♊বার (১৩ মার্চ) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
ফারুক খান বলেন, “বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বিনিয়োগের সবচেয়ে উত্তম পরিবেশ। একইসঙ্গে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পর্যটক ব🍒ৃদ্ধির পাশাপাশি বিদেশি পর্যটক আকর্ষণে নানান ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। তাই আমাদের বিদ্যমান পর্যটন অবকাঠামো উন্নয়ন এবং নতুন পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণে জাপানি বিনিয়োগ একটি লাভজনক উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হবে।”
সরকারের পক্ষ থেকে জাপানি বিনিয়োগকারীদের সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদান করা হবে বলে আশ্বাস দেন পর্যটনমন্ত্রী। তিনি বলেন, “জাপান ইতোমধ্যে বাংলাদেশের অ্যাভিয়েশন খাতের উন্নয়নে কাজ করছে। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ত💝ৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণে অর্থায়ন করেছে জাইকা। অ্যাভিয়েশন খাতে সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করার পাশাপাশি বাংলাদেশের পর্যটন উন্নয়ন দুই দেশের একত্রে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।”
এ সময় ইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, “বাংলাদেশের অ্যাভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে অংশীদার হতে পেরে জাপান আনন্দিত। তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজꦫে বাংলাদেশের সঙ্গে একত্রে কাজ করার অভিজ্ঞতা চমৎকার। আমরা আশা করছি, দ্রুত তৃতীয় টার্মিনালের পূর্ণাঙ্গ অপারেশন শুরু করা যাবে। পাশাপাশি বিমানের ঢাকা-নারিতা সরাসরি ফ্লাইট ইতোমধ্যে জাপানের নাগরিকদের মধ্যে সাড়া জাগিয়েছে।”
ইওয়ামা কিমিনোরি আরও বলেন, “পর্যটনে জাপানি বিনিয়োগের বিষয়ে বাংলাদেশের সুনি🍸র্দিষ্ট প্রস্তাব পেলে জাপান তা আন্তরিকতার সঙ্গে বিবেচনা করবে। 🐟আমরা বিশ্বাস করি, অ্যাভিয়েশনের পাশাপাশি পর্যটন শিল্পে দুই দেশ একত্রে কাজ করার ফলে বাংলাদেশ ও জাপানের জনগণের মধ্যকার বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হবে।”