রোজায় ব𒁃্রয়লার মুরগির দাম ৩০ থেকে ৪০ টাকা কমবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নতুন মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অবস্থিত জাতীয় ভোক্তা অধিকারের কনফারেন্স কক্ষে তিনি এ কথা বলেন। এদিন ব্রয়লার মুরগির♏ দাম নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার।
সফিকুজ্জামান জানান, ꦯরোজার মাসে ফার্ম থে🍨কে ১৯০-১৯৫ টাকা কেজি দরে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করা হবে। রোজায় বাজারে ব্রয়লার মুরগির দামে ৩০-৪০ টাকার একটা প্রভাব পড়বে। আশা করছি ভোক্তা পর্যায়ে কেজিপ্রতি ব্রয়লার মুরগির দাম কমবে ৩০-৪০ টাকা।
মহাপরিচালক বলেন, “কাজী ফার্ম, সিপি, প্যারাগন ও আফতাব ফার্মের সঙ্ꦐগে আমরা কথা বলেছি। কোম্পানিগুলো বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২৩০ টাকা করে মিল গেটে বিক্রি করেছে। তারা বৈঠকে আমাদের জানিয়েছেন শুক্রবার থেকে ১৯০-১৯৫ টাকায় বিক্রি করবে। আশা করছি ভোক্তা পর্যায়ে এখন দাম ৩০-৪০ টাকা কমবে।”
মহাপরিচালক বলেন, “বৃহস্পতিবার ভোররাতে গোয়েন্দা সংস্থা ও ভ🅰োক্তার কর্মকর্তারা আমাকে জানিয়েছেন- সারা দেশে পাইকারিতে ২২০-২৩০ টাকায় ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে। সেটা হাত বদল হয়ে ২৬০ টাকা হচ্ছে খুচরায়। প্রতিটি ভোক্তা এখন মুরগির দাম নিয়ে সাফার করছে। আশা করছি এই পদক্ষেপের কারণে দুই-তিন দিনের মধ্যে মুরগির দাম কমে আসবে। কোম্পানিগুলো আমাদের বলেছে ফিডের দাম বাড়ার কারণে এখন উৎপাদন খরচ বেড়েছে। তবে আমরা এ-ও বলেছি মুরগির দাম কোনোভাবেই ২০০ টাকার বেশি যৌক্তিক নয়। কোনোভাবে ৫♕০-৬০ টাকা বাড়তি দাম কাম্য নয়।”
সফিকুজ্জামান আ♏রও বলেন, “আমরা কোম্পানিগুলোকে বলেছি, কোন খাতে সরকার বেশি ইন্টারাপ্ট করলে সমস্যা, আমরা আপনাদের সাপোর্ট দেব। কিন্তু বাড়তি দাম মানব না। তাই তারা দাম কমানোর বিষয়ে রাজি হয়েছে। এখন মিলগেট থেকে দাম নির্ধারিত হবে। এরপর হাতবদলে দাম কত বাড়ছে, সেটা আমরা দেখব। গোয়েন্দা সংস্থা তদারকি করবে। এরপর কোনো সমস্যা হলে, সমাধান না হলে আমদানি উন্মুক্ত করে দেব।”
এ সময় কাজী ফার্মস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং কাজী ফার্মসের কর্ণধার কাজী জাহেদুল হাসান বলেন, “অনেক ভুল-বোঝাবুঝি হচ্ছে। আমরা এ জন্য ফার্মসে দাম নির্ধারণ করে দেব। এরপর বাইরে অনেক হাতবদল হয়। তারপর দাম কত হচ্ছে, সেটা ভোক্তা অধিদপ্তর দেখবে। সারা দেশে মুরগি উৎপাদনে ঘাটতি হয়েছে। ৩০ বছরের ব্যবসায় এমন অবস্থা দেখিনি। সরবরাহ কম থাকার কারণে মুরগির দাম বাড়ছে। আমরা যে চার কোম্পানি আছি, তারা নির্ধারিত দামে বিক্রি করব। খাবারের দাম ও খরচ কমতে⛄ পারে, তখন সেটা আরও কমাব।”
এর আগে কাজী ফার্মস, প্💖যারাগন পোল্ট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি, আফতাব বহুমুখী ফার্মস ও সিপি বাংলাদেশকে অযৌক্তিক দামে বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করায় তলব করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এরপর কোম্পানিগুলো মিলগেটে নির্ধারিত এ দামে মুরগি বিক্রি করার প্রতিশ্রুতি দেন।