দেশি-বিদেশি ঋণ পরিশোধে ৫১ বছরের যাত্রায় বাংলাদেশ কখনোই ব্যর্থ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কাম𒉰াল।
তিনি বলেছেন, “বাংলাদেশ অত্যন্ত সক্ষমতার সঙ্গে নিয়মিত ঋণ পরিশোধ করছে। জিডিপি অনুপাতে বাংলাদেশℱ বিশ্বের সবচেয়ে কম ঋণের দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম, যেখানে ঋণের পরিমাণ মাত্র ৩৪ শতাংশ।”
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সদর দপ্ত🌸রে বার্ষিক সভার অংশ হিসেবে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে এডিবির প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়ার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ ও এডিবির সম্পর্কেরღ ৫০ বছর পূর্তিতে গুরুত্বারোপ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশ ও এডিবির জন্য ‘আগামী বছর’ একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক। ২০২৩ সাল আমাদের অংশীদারত্বের ৫০তম বার্ষিকী হবে।”
বাংলাদেশ ও এডিবির ৫০ বছর পূর্তিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ১৬৫ মিলিয়ন বাংলাদেশি নাগরিকের পক্ষ থেকে এডিবি প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশ সফর এবং ৫০ বছরপূর্তি অনুষ্ঠান উদযাপনের 𓄧আমন্ত্রণ জানান অর্থমন্ত্রী।
দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থার বর্ণনা দিয়ে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, “বর্তমানে বাংলাদেশে এডিবির ক্রমবর্ধমান 🅘অর্থায়ন দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যার মধ্যে মোট বকেয়া ১১ দশমিক ৬৯෴ বিলিয়ন ডলার।”
উন্নয়নের মাইলফলক অর্জনে এডিবির ক্রমাগত সমর্থন বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী বলেন, “এডিবি এশিয়া ও প্রশান্ত𒊎 মহাসাগরীয় অঞ্চলে অর্থনৈতিক ও স্বাস্থ্যসংকট পুনরুদ্ধারের জন্য বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল সদস্য দেশগুলোকে দ্রুত ভ্যাকসিন ও ব্যয় সহায়তা দিয়ে সাহায্য করেছে। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে, বাংলাদেশ-এডিবি কান্ট্রি পার্টনারশিপ স্ট্র্যাটেজি (২০২১-২৫), বাংলাদেশের জাতীয় উন্নয়ন ও লক্ষ্যগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে তৈরি করা হয়েছে। যেখানে আগামী পাঁচ বছরে আমাদের জন্য ১২-১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তার জোগান থাকবে বলে আশা করা যায়।”
বাংলাদেশর সক্ষমতা ও অগ্রগতি তুলে ধরে মুস্তফা কামাল বলেন, “আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও বিচক্ষণ ন♋েতৃত্বে বাংলাদেশ সব আর্থসামাজিক সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন বিশ্ব সম্প্রদায়ের দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রশংসিত।💯 গত ১৩ বছরে গড়ে ৬ দশমিক ৬০ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে বাংলাদেশ।”
তিনি বলেন, “কোভিড-১৯ মহামারি এবং বর্তমান ভূরাজনৈতিক সংকটের কারণে খাদ্য, জ্বালানি, সার এবং আর্থিক সংকট বিশ্বব্যাপী সরবরাহ চেইনকে ব্যাহত করেছে এবং সারা বিশ্𒐪বে মূল্যস্ফীতি বাড়িয়েছে। সামাজিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিস্থাপকতা নিশ্চিত করতে আমাদের এডিবি থেকে বাজেট সহায়তার পাশাপাশি নীতিভিত্তিক ঋণ💝 (পিবিএল) প্রয়োজন। এ বিষয়ে এডিবির বিশেষ সহযোগিতা কামনা করছি।”
তিনি বলেন, “আমরা দৃঢ়ভাবে আশা করি এডিবি এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বিশেষ ༒করে বাংলাদেশকে জলবায়ু অভিযোজন, প্রশমন এবং দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে অসহায় মানুষদের সাহায্যের জন্য গতিশীল ভূমিকা পালন করতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের দুর্বলতা মোকাবিলায় মিশ্র অর্থায়নের পরিবর্তে নমনীয় ঋণ সহায়তা হবে বাস্তবসম্মত পদ্ধতি। এ ছাড়া এডিবি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ওপর বিশেষ মনোযোগ দিয়ে আইসিটি-ভিত্তিক উদ্যোক্তা উন্নয়ন, কৃষি বৈচিত্র্যকরণ, স্থিতিস্থাপক স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং মানসম্꧅পন্ন অবকাঠামোর কৃষি প্রবর্তনে তার উদার সহায়তা প্রসারিত করতে পারে।”