দেশের ঐতিহ্যবাহী র🔥াজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্🦋ঠাবার্ষিকী রোববার (২৩ জুন)। এ উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে প্লাটিনাম জয়ন্তী উদযাপন করছে দলটি।
রোববার দুপুরে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করতে দ𝔍েখা গ💫েছে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বেশ কয়েকজন নারীদের।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন গেট দিয়ে তারা মূল উদ্যানে প্রবেশ করেন। এসময় নিজ নিজ জাতিগত পোশাকে সজ্জিত অবস্থায় দেখা গেছে পার্বত্💯য অঞ্চলের জনগোষ্ঠীকে।
তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছ🤪ে, আওয়ামী ཧলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করবেন তারা।
শত🐠াব্দী নামের এক আদিবাসী নারী বলেন, “আমরা অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করব। আদিবাসীদের মধ্যে সব জনগোষ্ঠীর মানুষই আছꦡে।”
১৯💟৪৯ সালের এই দিনে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী রোজ গার্ডেনে ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক দলটির যাত্রা শুরু হয়। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে বিজয়ের পর ১৯৫৫ সালে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে দলের নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দেওয়া হয়। আর ‘পূর্ব পাকিস্তান’ শব্দ দুটি বাদ পড়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় থেকে। স্বাধীনতা ঘোষণা করার পর থেকে সব কাগজপꦐত্রে ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’ নাম ব্যবহার শুরু হয়।
গত সাড়ে সাত দশক ধরে আওয়ামী লীগের পথচলা ছিল গৌরবোজ্জ্বল। দীর্ঘ এই পথচলায় সংগঠনটি বাঙালি জাতির অধিকার ಌও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সব প্রতিবন্ধ꧒কতা জয় করে সফলতার মুকুটে সংযুক্ত করেছে একের পর এক পালক।
পৃথিবীর খুব কম সংগঠন আছে যারা ধারাবাহিক সাফল্য নিয়ে ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ꦏষিকী উদযাপন করার সৌভাগ্য অর্জন করেছে। একইভাবে গৌরব, সাফল্য ও অর্জনের সঙ্গে আওয়ামী লীগ তার প্রতিষ্ঠার রজতজয়ন্তী ও সুবর্ণজয়ন্তী পালনের বিরল সৌভাগ্যের অধিকারী।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ ও বꦏিশিষ্টজনরা মনে করেন, আওয়ামী লীগের অর্জন পাকিস্তান আমলের গণতান্ত্রিক অর্জন। এই দলের অর্জন বাংলাদেশের💟 অর্জন। জাতির জন্য যখন যা প্রয়োজন মনে করেছে, সেটি বাস্তবায়ন করেছে দলটি। ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ, সব আন্দোলন-সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশ গঠনে সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করেছে আওয়ামী লীগ। স্বাধীনতার পর থেকে দেশবিরোধীদের ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ধ্বংসস্তূপ থেকে উঠে এসে স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পর শেখ হাসিনা গত চার দশকেরও বেশি সময় ধরে এ দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্ব এ দলের নেতাকর্মীদের প্রেরণার উৎস এবং তা সংগঠনকে করেছে সমৃদ্ধ। শেখ হাসিনার আপসহীন, সুদক্ষ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে স্বৈরতন্ত্রের চৌহদ্দি পেরিয়ে গণতন্ত্রের স্বাদ পেয়েছিল বাংলার জনগণ। কালের বিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আজ ডিজিটাল ♔বাংলাদেশের পথ পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বাপ্নিক অভিযাত্রী আওয়ামী লীগ।