২০২৩ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরেই সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ৫১২ জন। আহত হয়েছেন প্রায় আটশ জন। শুধু ডিসেম্বর মাসেই ৫১৭টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে ক🐓াজ করা সংগঠন রোড সেফটি ফাউন্ডেশন এಞ তথ্য জানিয়েছে।
বৃহস্পতি🎀বার (৪ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি এসব তথ্য জানায়।
৯টি জাতীয় দৈনিক,৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রত🉐িবেদনটি তৈরি করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে ৫৯ নারী ও ৬৪ শিশু।🐼 সবচেয়ে নিহত হয়েছেন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়। ২১৩টি মোটর📖সাইকেল দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ২০১ জন। অন্যান্য যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৫৬ জন। এসব দুর্ঘটনায় ১১৪ জন পথচারী নিহত হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ডিসেম্বর মাসে ৯টি নৌ-দুর্ঘඣটনায় ১৭ জন নিহত, ১৪ জন আহত এবং ১১ জন নিখোঁজ রয়েছেন। ২৬টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ৩১ জন নিহত এবং ২৩ জন আহত হয়েছেন﷽। ট্রলার ডুবিতে ৩৩টি গরুর মৃত্যু ঘটেছে।
দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের চিত্র বিশ্লেষণ করে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়—মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ২০১ জন, বাস যাত্রী ৯ জন, ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ-ট্রাক্টর-ড্রামট্রাক-রোলার মেশিন গাড়ি আরোহী ২৬ জন, প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস-পাজেরো জিপ আরোহী ১৫ জন, থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটো ভ্যান-লেগুনা) ১০১ জন, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী 🍃(নসিমন-ভটভটি-চান্দের গাড়ি-টমটম-মাহেন্দ্র-পাখি ভ্যান-টাফি গাড়ি) ৩০ জন এবং বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা-রিকশা ভ্যান আরোহী ১৬ জন নিহত হয়েছে।
রোড স🌱েফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৬২টি জাতীয় মহাসড়কে, ২৩৮টি আঞ্চলিক সড়কে, ৭৭টি গ্রামী𝔉ণ সড়কে, ৩৭টি শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে ৩টি সংঘটিত হয়েছে।
দুর্ঘটনার সময় বিশ্লেষণে সংস্থাটি বলছে, এসব দুর্ঘটনার মধ্যে ভোরে ২ দশমিক ২২ শ𓄧তাংশ, সকালে ৩০ দশমিক ৩৬ শতাংশ, দুপুরে ১৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ, বিকেলে ১৯ দশমিক ৭২ শতাংশ, সন্ধ্যায় ৯ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং রাতে ১৮ দশমিক ৭৬ ♏শতাংশ।
ঢাকা বিভাꩲগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। ১২৩টি দুর্ঘটনায় ১১৮ জন নিহত। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ২৯টি দুর্ঘটনায় ৩০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। একক জেলা হিসেবে ঢাকা জেলায় সবচেয়ে বেশি ৪১টি দুর্ঘটনায় ৩৫ জন নিহত হয়েছে। সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ঘটেছে চাঁদপুর জেলায়। সেখানে ৩টি দুর্ঘটনা ঘটলেও কোনো প্রাণহানি ঘটেনি।
শুধু তাই নয় কোন বিভাগে কী পরিমাণ দুর্ঘটনা ঘটেছে সেটিরও একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে দেখা যায়—ঢাকা বিভাগে দুর্ঘটনা ২৩ দশমিক ৭৯ শতাংশ, প্রাণহানি ২৩ দশমিক ৪ শতাংশ; রাজশাহী বিভাগে দুর্ঘটনা ১৩ দশমিক ১৫ শতাংশ, প্রাণহানি ১২ দশমিক ৮৯ শতাংশ; চট্টগ্রাম বিভাগে দুর্ঘটনা ১৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ, প্রাণহানি ১৬ দশমিক ৯৯ শতাংশ; খুলনা বিভাগে দুর্ঘটনা ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ, প্রাণহানি ১২ দশমিক ৬৯ শতাংশ; বরিশাল বিভাগে দুর্ঘটনা ৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ, প্রাণহানি ৭ দশমিক ৪২ শতাংশ; সিলেট বিভাগে দুর্ঘটনা ৫ দশমিক ৬০ শতাংশ, প্রাণহানি ৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ; রংপুর বিভাগে দুর্ঘটনা ১১ দশমিক ২ শতাংশ, প্রাণহানি ১০ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে দুর্ঘটনা ১০ দশমিক ৫ শতাংশ, প্রাণহানি ঘটেছে ১০ দশমিক ৯৩ শতাংশ।