করোনা মহামারি শেষ হতে না হতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞাও দেখা দেয়। এতে বিশ্বের✃ অনেক দেশে বিভিন্ন ধরনের সংকটের সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশও এর বাইরে ছিল না। বিশেষ করে আমদানিতে ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় দেশে রিজার্ভ ঘাটতি শুরু হয়। এতে টাকার বিপরীতে মার্কিন ডলারের দাম ক্রমান্বয়ে বাꦫড়তে থাকে। এসবের মধ্যে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ঠিক রাখতে নানা ধরনের কার্যক্রম শুরু করে বাংলাদেশ সরকার।
এর ধারাবাহিকতায় প্রবাসী আয়ে (রেমিট্যান👍্স) সুফল পাওয়া যায়। এরপর রপ্তানি আয়েও বড় ধরনের উল্লম্ফন হয়। এই অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার দেশে এ💖সেছে। ফলে রেমিট্যান্স আর রপ্তানিতে বাজিমাত করে নতুন অর্থবছর ২০২২-২৩ শুরু করল বাংলাদেশ।
এতে দেখা যায়, নতুন অর্থবছরের শুরুর মাসে এই রপ্✱তানি আয় গত বছরের একই মাসের চেয়ে꧅ ১৪ দশমিক ৭২ শতাংশ বেশি। আর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেশি এসেছে।
ম💦ঙ্গলবার (২ আগস্ট) এ তথ্য প্রকাশ করেছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।
এতে দেখা যায়, গত ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ২০২২-২৩ অর্থবছরের 🍰পুরো মাসে প্রায় ৪ বিলিয়ন (৩৯৮ কোটি ৪৮ লাখ ২০ হাজার) ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ।
তথ্যমতে, গত ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৩৪৭ কোটি ৩৪ লাখ (৩.৪৭ বিলিয়ন) ডলার। লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩৯২ কোটি ♐(৩.৯২ বিলিয়ন) ডলার। এ হিসাবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৪ দশমিক ৭২ শতাংশ। আর লক্ষ্যের চেয়ে বেড়েছে ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরের শুরুর মাসে (জুলাই) মোট রপ্🥂তানি আয়ের মধ্যে তৈরি পোশাক খাত থেকেই এসেছে ৩৩৬ কোটি ৬৯ লাখ (৩.৩৬) ডলার বা ৮৪ দশমিক ৫০ শতাশ।প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৬ দশমিক ৬১🐻 শতাংশ।
গত ২০২১-২২ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি করে ৫২ দশমিক শূন্য ৮ বিলিয়ন ডলার আয় হয়েছিল। তার আগের অর্থবছরের (২০২০🔴-২১) চেয়ে ৩৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ ಌবেশি আয় হয়েছিল।
২০২২-২৩ অর্থবছরে ৫৮ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য ⛄ধরা হয়েছে।
এদিকে জুলাই মাসে রেমিট্যান্সও বেড়েছে ১২ শতাংশের বেশি। এই মাসে প্রবাসীরা ২.১০ ব✨িলিয়ন (২১০ কোটি) ডলার পাঠিয়েছেন দেশে, যা ১৪ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।