সম্প্রতি এক লিটলম্যাগে সংগৃহীত একটি নিবন্ধ ছাপা হয়েছে লেখক ও চিন্তাবিদ সলিমুল্লাহ খানের নামে। মনির ইউসুফ সম্পাদিত পত্রিকাটির নাম `কবিতার রাজপথ`। আজ শনিবার (১৮ মার্চ) পত্রিক♛ার সম্পাদক সংবাদ প্রকাশকে জানিয়েছেন, বিষয়টি ভুল করে ঘটে গেছে। "হিটলারও ছবি আঁকতেন, মুসোলিনীও লেখক ছিলেন" শিরোনামের লেখাটি আসলে সলিমুল্লাহ খানের নয়। পত্রিকা কর্তৃপক্ষ লেখাটি পেয়েছিল সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে, কিন্তু পত্রিকার ফেব্রুয়ারি ২০২৩ সংখ্যায় তা সলিমুল্লাহ খানের নামে ♌ছাপা হয়।
বিষয়টি নিয়ে এরইমধ্যে সম্পাদক মনির ইউসুফ নিজের ফেসবুকে বিশেষ ঘ൩োষণা দিয়ে বলেছেন, "কবিতার রাজপথ বর্তমান সংখ্যায় লেখক হিসেবে শ্রদ্বেয় ড. সলিমুল্লাহ খানের নামে প্রকাশিত নিবন্ধটি লেখক তার নয় বলে আমাদের অবগত করেছেন। কবিতার রাজপথ এই অবগতিকে শ্রদ্বা জানিয়ে লেখাটি প্রত্যাহার করে নিয়েছে। যেহেতু ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত, তাই আমাদের এই ভুলের জন্য আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি।"
এই ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় সলিমুল্লাহ খান সংবাদ প্রকাশকে বলেন, "এই ঘোষণাটিও এক ধরণের দায়িত্বশীলতার অভাব প্রমাণ করছে । আমি তো তাঁদের কখনো বলিনি এই লেখাটি আমার। অপরাধের মধ্যে হোয়াটস্ অ্যাপ মারফত পাওয়া লেখাটি আমি কৌতুহলবশত কবি ম🥀নির ইউসুফকে মাত্র ফরোয়ার্ড করেছিলাম। তিনি এটা তাঁর সম্পাদিত পত্রিকায় ছেপে দিয়েছেন। সঙ্গে লেখক হিসেবে আমার নামটাও জুড়ে দেয়া হয়েছে। ছাপার আগে আমার অনুমতি তো দূরের কথা, আমাকে জিজ্ঞাসা করার প্রয়োজন পর্যন্ত তিনি অনুভব করেননি। অনুমান করেই ছেপে দিয়েছেন। এই লেখার গদ্যরীতি খুঁটিয়ে পড়লেও পরিস্কার হয়, লেখাটি আমার নয়। এমনকি লেখক হিসেবে আমার নামটাও ভুল লেখা হয়েছে। সম্পাদক হিসেবে কবি মনির ইউসুফ আশা করি ভবিষ্যতে আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবেন ।"
সলিমুল্লাহ খান সংবাদ প্রকাশকে জানান, তিনি কখনোই লেখার ক্ষেত্রে নিজের নামের আগে `ডক্টর` যোগ করেন না, যা এই 🔯লেখায় করা হয়েছে। তাছাড়া তিনি গদ্য সাধু ভাষায় লেখেন, কিন্তু এই রচনাটি⛄ চলিত ভাষায়।
সম্পাদকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা `কবিতার ✤রাজপথে`র পরব💙র্তী সংখ্যায় ভুল সংশোধনী গুরুত্ব দিয়ে ছাপবেন।