চার ঘণ্টা ধরে মাইর-ধরের পর ঘুমায় যাওয়া কয়েদিরে পুলিশ অফিসার ও তার দুই কনস্টেবল পানি ঢেলে জাগাইলেন। বললেন, কর্নেল তুরে একটা চাꦇন্স দিছে। কইতে অইবো, আমাগোর কার কুন চুখটা নকল? কইতে পারলে মাইরতুন বাঁচবি। কয়েদি চোখ বুলাইলেন সবার উপর।তারপর দে𒁏খাই দিয়া কইলেন, হের; ডানেরটা।
পুলিশ অবাক, ব🐻াঁচলি। তয় কইলি কেমনে? ভেঙে পড়া কয়েদি কোনোরকম বল্লেন, ক্যান? আফনার অই চুখেইতে শুধু ঘিন্না নাই।
স্বাভাবিকভাবেই কয়েদিরে আবার পিঠানো শুরু হইল।
(রোকে ডাল্টন এল সালভেদরের কবি। জন্ম ১৯৩৫ সালে, ১৪ মে। তিনি শুধু কবি না, গল্পকার, নাট্যকার, প্রবান্ধিক এবং সাংবাদিকও। এবং এর পাশাপশি তার সবচে বড় যে পরিচয়, তিনি রাজনীতিকও। কমিউনিস্ট পার্টির সাথে যুক্ত ছিলেন। এজন্য জেলেও যাইতে হয় কয়েকবার। ফাঁসিরও আদেশ হয়। কিন্তু সরকার পতন হলে তিনি বেঁচে যান। এবং মেহিকোতে নিবার্সিত হন। মেহিকো থেকে যান কিউবায়। অইখানে আরও অনেক কবি-লেখক ছিলেন, যাদের অনেকেই রাজনৈতি কারণে সাজাপ্রাপ্ত এবং নিবার্সিত। এখানে ওনার কবিতা নানান জায়গায় ছাপা হয় এবং কবি হিসাবে পরিচিতি পান। পরে, এল সালভেদরে ফিরে আসেন এবং আবার পলিটিক্যাল কাজে যুক্ত হয়ে পড়েন। এবার দুই মাসের মাথাতেই গ্রেপ্তার হয়ে যান। জেলে তার নামে সিআইএর এজেন্ট অভিযোগ এনে ভালোরকম টর্চারও চলে। ফাঁসিরও হুকুম হয়। সৌভাগ্যবশত, ভূমিকম্পে জেলের সেলের দেয়াল ভেঙে গেলে, তিনি পালায় যান। কিউবায় গিয়ে আশ্রয় নেন। কিউবা থেকে যান জার্মানির প্রাগে, কমিউনিস্ট পার্টির হয়ে একটা পত্রিকার প্রতিনিধি হিসাবে। তারপর আবার যখন দেশে ফেরেন, তখন গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। তিনি এল সালভেদরের বামপন্থী এক গেরিলা দল পিপলস রেভলিউশন আর্মির সঙ্গে যুক্ত হয়ে হন। এক পর্যায়ে দল থেকে অভিযোগ আসে তিনি দলের বিরুদ্ধে কাজ করেন, গুপ্তচর। এই অভিযোগে ১৯৭৫ সালে, তার জন্মদিনের চার দিন আগে তারা তাকে গুলি করে হত্যা করে। মারা যাওয়ার পরে তার কবিতা পৃথিবীর নানান দেশের নানান ভাষায় অনুবাদ হইতে থাকে এবং কবি হিসাবে পরিচিতি বাড়তে থাকে। কবিতা বিষয়ক তার যে ভাবনা; ‘কবিতা হবে ভাতের মতোন, সবার জন্য’ এই চিন্তাও প্রসার পাইতে থাকে।)