ভবিষ্যতের জন্য় এখন থেকেই টাকা জমানোর অভ্যাস করুন। চাকরির বেতনে বা ব্যবসার লাভের টাকায় সংসার চলছে কোনোমতো। যা রোজগার করছেন, তাই খরচ হয়ে যাচ্ছে। মাসের শেষে তাই রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় অনেকের। যাদের সম্পদের অভাব নেই তারা নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন। তবে যাদের চাহিদা পূরণের পꦍর দিন শেষে ভবিষ্যতের কথা ভাবতে হচ্ছে, তারা একটু একটু করে সঞ্চয় শুরু করুন।
প্রয়োজন মিটিয়ে মাস শেষে কিছু টাকা সঞ্চয়ের খাতায় তুলে রাখার কিছু কৌশল জানাব এই আয়োজনে🍷।
পরিকল্পনা করুন
টাকা জমানো শুরু করছেন, এই ভেবে মনস্থির করেছেন। 🌠ꦑএবার প্রতিদিনের কাজের এবং খরচের একটি পরিকল্পনা করুন। কোন মাসে কোনটি না হলেও চলবে কিংবা কোন মাসের মধ্যেই কোন জিনিসটি আপনার লাগবে, তা পরিকল্পনায় সাজিয়ে নিন। এতে টাকা খরচের নির্দিষ্ট হিসাব থাকবে। টাকা জমানো সহজ হবে।
অতিরিক্ত খরচ বন্ধ করুন
প্রতি মাসেই কোন জিনিসে বেশি খরচ হচ্ছে তা খুঁজে বের করুন। অযথা বাড়তি খরচ করে টাকা নষ্ট করবেন না। ট্যাক্সি ভাড়ায়, কফি বা চা পানে কিংবা শপিংয়ে লাগাম টেনে কিছুটা টাকা সঞ্চয়ে রাখুন। যতটা প্রয়োজন ততটাই খরচ করু༒ন। অতিরিক্ত খরচ করলে আপনি কখনোই সঞ্চয়ী হতে পারবেন না।
সঞ্চয়ী অ্যাকাউন্ট করুন
সংসারের প্রয়োজনীয় খরচ 🎀শেষে বাড়তি টাকা জমানোর জন্য় একটি সঞ্চয়ী অ্যাকাউন্ট খুলুন। প্রতি মাসের নির্দিষ্ট সময়ে সেখানে টাকা জমিয়ে রাখবেন। নিজেও আনন্দ পাবেন।
তালিকা করে কেনাকাটা করুন
মাসের 🅷বা সপ্তাহের কেনাকাটাগুলো একসঙ্গে করুন।✃ একটি তালিকা করে নিন। সেই অনুযায়ী কেনাকাটা বা বাজার সেরে নিন। একসঙ্গে অনেক কিছু কিনলে দোকানদারও আপনাকে মূল্যছাড় দেবে। শপিং মলগুলোতে ডিসকাউন্ট অফারও পাওয়া যায়। এতে কিছু টাকা জমবে।
বাইরের খাবারে টাকা খরচ বন্ধ করুন
অনেকে বাড়িতে খ⭕াবার থাকার পরও বাইরের খাবার কিনে খেতে পছন্দ করেন। এতে মাসের শেষে বাজার করারও টাকা থাকে না। তཧাই বাইরের খাবার কম খাওয়ার অভ্যাস করুন। চেষ্টা করুন অফিসে ঘরের খাবার নিয়ে যাওয়ার। নিজে খাবার তৈরি করে খেলে তাতে খরচ কমবে এবং স্বাস্থ্যকরও হবে।
চা বা কফিতে অতিরিক্ত খরচ
কাজের চাপে চা বা কফি বেশি পরিমাণে পান করেন অনেকে। এটা ছাড়া নিজেদের দুর্বল মনে হয়। এই অভ্যাস বদলে ফেলুন। ꦡপ্রতিদিন ক্লান্তি কাটাতে এক কাপ চা বা কফি পান করুন। দিনের কিছু সময় পর পর কফি পান বন্ধ করুন। এতে খরচ অনেকটাই বেঁচে যাবে।
বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় খরচ কম করুন
মানসিক শান্তির জন্য় অবশ্যই বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিবেন। কিন্তু তা প্রতিদিন নয়। সপ্তাহে একদিন আড্ডা দিন। তখন কিছু খাওয়া দাওয়া খরচ শেয়ার করতে পারেন। কিন্তু প্রতিদিন আড্ডা দিলে পকেটে থেকে ঝোঁকের বশে অনেক টাকাই খয়ে যওাবে। তাই অযথা খরচ থেকে বিরত থাকুন।
ঘরে টাকা জমান
প্রতি সপ্তাহের জমানো টাকা 𝔍একটি খাম বা বাক্সে ভরে রাখুন। প্রতিদিন সেখানে কিছু টাকা জমান। চোখের সামনেই রাখুন। যা দেখলে টাকা জমানোর কথা ম🧸নে পড়বে। ভুলেও সেখান থেকে টাকা নিয়ে খরচ করবেন না।
ব্যাংকে কার্ড ব্যবহার করবেন না
কোনো ব্যাংকে সঞ্চয়ী অ্যাকাউন্টে টা⛄কা জমাচ্ছেন? সেই ব্যাংকে এটিএম কার্ড ব্যবহার করবেন না।🐓 এতে আপনার টাকা তুলে নিতে ইচ্ছে হবে। জমানো টাকা তুলে নিতে বার বার এটিএম বুথে ছুটে যাবেন। তাই ব্যাংকের চেক বই দিয়ে মাসে একবারই টাকা তুলে নিন। সেই টাকা হিসাব করে খরচ করুন।
ভ্রমণ খরচ কমান
অনেকেই সুযোগ পেলেই ভ্রমণে ছুটে যান। বছরে একবার ঘুরে আসতে পারেন। কিন্তু একাধিকবার ভ্রমণে খরচ বেশি হবে। তাছাড়া দলবেঁধে ঘুরতে যাওয়ার চেষ্টা করুন। এ🐈তে খরচ অনেকটাই কমবে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ঘর🎉েই বিশ্রাম নিন। মাসে একটি ছুটির দিন নিজের মতো কাটাতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন অতিরিক্ত খরচ যেন না হয়।
হিসাব রাখুন
টাকা আয় ও ব্যয়ের হিসেব রাখুন। প্রতিদি🌜ন কিংবা প্রতি সপ্তাহের শেষে হিসেব করুন কত টাকা খরচ হলো। কেনাকাটা , যাতায়াত, সন্তানদের লেখাপড়া বাবদ খরচ সবই একটি খাতায় লিখে রা෴খুন। এতে মাস শেষে আপনার টাকার হিসেব মেলাতে সুবিধে হবে। অতিরিক্ত খরচ হলেও খুজে দেখুন কোথায় অপ্রয়োজনীয় খরচ হয়েছে।
দাওয়াতে খরচ কমান
সারা বছরই অনুষ্ঠান লেগে থাকে। বিয়ে, জন্মদিন কিংবা পারিবারির অনুষ্ঠানে যেতে হয়। এসব অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে ভেবে নিন কীভাবে কম খরচেই অংশগ্রহণ সহজ করা যায়। যেমন উপহারের ক্ষেত্রে নগদ টাকা দেওয়🌄া পরিবর্তে কিছু কিনে দিতে পারেন। এতে বাজেটের মধ্যেই সেরে উঠবেন।