• ঢাকা
  • রবিবার, ০১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


প্রেমিকার হাত ধরে হাঁটলেই শাস্তি হয় যে দেশে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২, ২০২৩, ০৪:০৪ পিএম
প্রেমিকার হাত ধরে হাঁটলেই শাস্তি হয় যে দেশে

মধ্য এশিয়ার তুর্কমেনিস্তানের আইন-কানুন সত্যিই স✅র্বনেশে। এক সময় সোভিয়েত রাশিয়ার অন্তর্গত ছিল এই দেশ। ১৯৯১-তে রাশিয়া ভেঙে যাওয়ার সময় স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে কাস্পিয়ান সাগরের তীরের এই দেশ। যার রাজধানী হল আশগাবাত।

কয়েক বছর আগেই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম ওঠে তুর্কমেনিস্তানের রাজধানীর। সেখানকার অধিকাংশ বাড়ি সাদা মার্বেল পাথরে তৈরি হওয়ায় এই তকমা পেয়েছ♛ে আশগাবাত। বিশ্বের সেরা সাজানো-গোছানো শহর হিসেবেও খ্যাতি রয়েছে এর।

দুনিয়ার𒐪 সবচেয়ে লম্বা পতাকা দণ্ডও রয়েছে এই শহরে। তারপরও খুব কম পর্যটকই এই দেশটিতে বেড়াতে♛ আসেন। এর পিছনে রয়েছে অদ্ভুতুড়ে কিছু আইন।

তুর্কমেনিস্তানের আইন অনুযায়ী রাজধানীর সাদা মার্বেল পাথরের তৈরি বাড়িতে কাউকে থাকতে দেওয়া হয় না। বাড়িগুলি সরকারি বা বেসরকারি অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে এমনটাও নয়। শহরে অতিরিক্ত জনসমাগম হলে ব🍃াড♊়বে দূষণ। সেই যুক্তিতে বাড়িতে বসবাস বা অফিস খোলার অনুমতি বাতিল করেছে প্রশাসন।

গত বছরের মার্চে তুর্কমেন🅰িস্তানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন সেরদার বেরদিমুহাম্মদ। কুর্সিতে বসার পরই নারী-পুরুষের প্রকাশ্যে মেলামেশা বন্ধ করতে কড়া আইন পাশ করেন তিনি। এরপর থেকেই প্রকাশ্যে কোনো মেয়ের হাত ধরে ঘোরা নিষিদ্ধ হয়েছে মধ্য এশিয়ার এই দেশে।

প্রসঙ্গত, বেরদিমুহাম্মদের বাবাও ছিলেন তুর্কমেনিস্তানের প্রেসিডেন্ট। কালো রং একদম সহ্য করতে পারতেন না তিনি। ফলে রাস্তা⭕য় কালো রঙের গাড়ি চলাচল বন্ধ করতে নতুন আইন পাশ করেন তিনি। রাতারাতি সমস্ত কালো রঙের গাড়ি বাতিল হওয়ায় বেজায় বিপাকে পড়েন গাড়ি মালিকরা। বিপুল টাকা খরচ করে গাড়ির রং বদলাতে হয়েছিল তাদের।

সোভিয়েত রাশিয়া ভেঙে স্বাধীন তুর্কমেনিস্তান তৈরির পর সেদেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট হন সাপারমুরাত নিয়াজভ। দেশ থেকে রুশ প্রভাব পুরোপুরি মুছে ফেলতে একাধিক পদক্ষেপ করেন ত⛦িনি। যার মধ্যে অন্যতম ছিল রুশ নামগুলো মুছে ফেলা।

ক্ষমতಌায় এসেই রাজধানী আশগাবাতে সোনায় মোড়া নিজের মূর্তি তৈরি করেন প্রেসিডেন্ট নিয়াজভ। এর জন্য খরচ হয়েছিল কোটি কোটি টাকা। যা প্রভাব ফেলেছিল তুর্কমেনিস্তানের অর্থনীতিতে। যদিও বিষয়টি গ্রাহ্যই করেননি তৎকালীন প্রেসিডেন্ট।

Link copied!