পূজার আনন্দ যেমন ঘরে থাকে, তেমনই থাকে বাইরেও। পূজায় পরিবার ও বন্ধুদের নিয়ে মন্ডপে মন্ডপে ঘুরবেন, এতেই আনন্দ দ্বিগুণ বেড়ে যায়। সাধারণত সপ্তমী থেকেই পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু। যদিও প্রথমা থেকেই পূজার মন্ডপে ভিড় জমে। অষ্টমী, নবমীতে সেই ভিড় আরও বেড়ে যায়। তাই পূজার মন্ডপে যাওয়ার আগে কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে সঙ্গে যদি ছোট বাচ্চা থাকে তবে পূজার ম🐼ন্ডপে যাওয়ার সময় বিশেষ প্রস্তুতি রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন।
অনেকেই নবজাতককে নিয়ে পূজার মন্ডপে আসেন। অনেকে আবার ১-২ বছরের সন্তানদের নিয়ে মন্ডপে হাজির হন। এই বয়সের বাচ্চাদের নিয়ে বেশি ভিড়ে না ꦜযাওয়াই ভালো। আবার বেশি দূরের মন্ডপে যাওয়ার পর🍸িকল্পনাও করা ঠিক হবে না। বরং আশপাশের পূজা মন্ডপ থেকে ঘুরে আসুন। বড় মন্ডপে গেলে স্বস্তিতে ঘুরে আসতেও পারবেন।
পূজা মন্ডপে যাওয়ার আগে সন্তানের জন্য আলাদা ব্যাগ গুছিয়ে নিন। ১-২ বছরের বাচ্চাদের নির্দিষ্ট সময় পরপর খেতে হয়। তাদের বাইরের খাবার না দেওয়াই ভালো। তাই ব্যাগে সন্তানের জন্য খাবার নিয়ে নিন। খাবার বানিয়ে আলাদা আলাদা কন্টেইনা🐽রে গুছিয়ে নিন। পানির বোতল সঙ্গে রাখুন। অতিরিক্ত ডায়াপারও নিয়ে নিন। বেবি ওয়াইপস নিতে ভুলবেন না।
সন্তানের ডায়াপার কিছুক্ষণ পর পর দেখুন। ভিজে গেলেই পাল্টে দিন। সবরকম প্রস্তুতি থাকলেও শিশুদের নিয়ে দীর্ঘক্ষণ প্য𝓀ান্ডেল হপিং না করাই ভালো। ২ ঘণ্টার মধ্যেই ঘুরিয়ে বাড়ি ফিরুন।
বাচ্চার বয়স ৩-৫ বছর হলে তাদের নিয়ে💜 পূজা মন্ডপে ঘুরে বেড়ানোকে উপভোগ করতে পারেন। এই সময় শিশুরা হাঁটতে শিখে যায় এবং সবকিছুই বুঝতে পারে। তাদেরকে পুরোপুরি সাজিয়ে সঙ্গে নিয়ে পূজা মন্ডপে ঘুরে বেড়াতে পারেন। তবে ভিড়ের মধ্যে সন্তানের হাত ছাড়া যাবে না। কোনোভাবেই একা ছাড়া যাবে না। এই বয়সের শিশুদের নিয়ে সকালেই পূজা মন্ডপে ঘুরে আসুন। বিকেলের পর থেকে ভিড় বাড়বে। সন্ধ্যার পর মন্ডপে না থাকাই ভালো। আবার রোদের মধ্যে সন্তানের শরীর না খারাপ সেদিকেও খেয়াল রাখুন।
সকালে পূজা মন্ডপে গেলে রোদ থেকে বাঁচতে সন্তানকে টুপি পরাতে পারেন। বেশি ভারী বা জাঁকজমক পোশাক পরাবেন না। আরামদায়ক পোশাক পরুন। ঘামে গরমে ডিহা𒁏ইড্রেশনের ঝুঁকি থাকে꧒। তাই বারবার পানি পান করাবেন।
𓆉বাচ্চা রাস্তায় কিছু কেনার জন্য বায়না ধরতে পারে। কোনোভাবেই খাবারের কিছু কিনে দেবেন না। কারণ বাইরের খাবার খেলে সন্তানের পেটে সংক্রমণ হতে পারে। ব্যাগে কিছু শুকনো খাবার রাখুন। ড্রাই ফ্রুটস ব্যাগে রাখ🦂ুন। অল্প অল্প করে খেতে দিন।
বড় সন্তান অর্থাত্ ৬-১০ বছরের সন্তানদের নিয়ে পূজা মন্ডপে গেলে চিন্তা অনেকটাই কম থাকবে। এই বয়সের বাচ্চারা অনেকটাই সাবলীল থাকে। তাদের নিয়ে যেকোনো পূজার মন্ডপেই ঘুরে বেড়াতে পারেন। তবে ত﷽াদের পোশাক আর জুতো যেন আরামদায়ক হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। অনেক সময় নতুন জুতো পরলে পায়ে ফোসকা পড়ে যেতে পারো। তখন পূজা মন্ডপে বেশিসময় থাকা যাবে ඣনা। তাই পূজার কেনাকাটায় আরামদায়ক পোশাক আর জুতোই কিনুন। স্নিকার্স জাতীয় জুতো এক্ষেত্রে উপযুক্ত হবে। এই বয়সের বাচ্চাদের খাওয়া দাওয়া নিয়ে ততটা চিন্তা না থাকলেও বাইরের খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভালো হবে।
সন্তানকে বাড়ির ঠিকানা, বাবা-মায়ের নাম ও ফোন নম্বর মুখস্ত করিয়ে রাখতে পারেন। নয়তো সন্তানের পোশাকের পকেটে বা ব্যাগে একটি ছোট কাগজে লিখে দিতে পারেন। সঙ্গে কিছু টাকাও রাখলে ভালো হবে। কারণ দুর্ভাগ্যবশত ভিড়ে🍎র মধ্যে হারিয়ে গেলেও পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিজের বাড়ি খুঁজে নিতে পারে। এই কৌশলগুলো সন্তানকে শিখিয়ে রাখুন। সন্তানরা নিজেদের বিষয়গুলোতেও সচেতন থাকার শিক্ষা দিন। এতে আপনিও চিন্তামুক্ত থাকবেন।