দেশের অধিকাংশ নারীই এখন কর্মজীবী। কাজের জায়গা ঠিক রেখে সংসারও সামলে নিতে হচ্ছে। এরমধ্যেই মাতৃত্বের অধ্যায় পার হচ্ছে। নারীদের গর্ভকালীন ছুটি থাকে। সন্তান জন্ম হওয়ার ৬মাস পর্যন্ত মাতৃত্বকালীন ছুটি বরাদ্দ রাখা থাকে। এরপর আবার কাজে ফিরতে হয়। মাতৃত্বকালীন ছুটির পর নবজাতককে সামলে অফিস করাটা রীতিমতো চ্যালেঞ্জিং। আবার কাজের দিকে পুরোপুরি মনোযোগী হওয়াটাও সময়ের ব্যাপার। সবদিক সামলে নিতে মায়েদের শারীরওিক ও মানসিক🔥 চাপ হতে পারে। তাই সবদিক সামলে কীভাবে আবারও স্বাভাবিক কাজের পরিবেশে ফেরা যাবে তা নিয়েই ভাবা জরুরি। এর জন্য কিছু পরামর্শ থাকছে এই আয়োজনে।
শিশুর নিরাপত্তা
দিনের অনেকটা সময় অফিসে থাকতে হচ্ছে। ব♒াড়ি ফিরে পুরোটা সময়ই বাচ্চাকে দিতে হবে। বিশ্বস্ত কেয়ারগিভারের সন্ধান আগেই🍌 করে রাখুন। কিংবা পরিবারের বয়োজ্যোষ্ঠ কেউ থাকলে তার কাছে বাচ্চার দেখাশোনার দায়িত্ব দিতে পারেন। সঙ্গে কেয়ারগিভারও থাকবেন। বাচ্চার যাবতীয় দেখভাল তারাই করতে পারবেন।
যোগাযোগ করুন
অফিসে থাকলেও কিছুক্ষণ পরপর সন্তানের খবর নিন। মোবাইল ফোনে ভিডিও কল করে সন্তানকে দেখতে পারেন। সন্তানের খোঁজ রাখতে পারবেন। বিশেষ প্রয়োজন হলে দ্রুত বাড়ি ফিরে যেতে প🗹ারবেন।
কাজে ফেরা
মাতৃত্বকালীন ছুটি শেষে বাচ্চাকে রেখে কাজে ফেরাটা চ্যালেঞ্জিং। বিশেষ করে মানসিক দꦯিক থেকে এটি চাপও হতে পারে। বাচ্চার থেকে দূরে থাকলে মন খারাপ থাকবে। ꦬআবার শারীরিক কিছু জটিলতায় দীর্ঘসময় কাজ করাও জটিল হতে পারে। এক্ষেত্রে কাজে ফেরার আগে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করে কিছু স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে নিতে পারেন। কাজের বিষয়গুলো আগে ধারণা নিয়ে নিন। দীর্ঘসময় কাজের সঙ্গে যুক্ত না থাকায় হয়তো নতুন তথ্য আপনার অজানা থাকতে পারে। সেগুলো আগেই জেনে নিন।
নির্ভরযোগ্য মাধ্যম
শিশু জন্মানোর আগেই নির্ভরযোগ্য মাধ্যম ঠিক করুনম যিনি আপনার অনুপস্থিতিতে সন্তানের যত্ন নেবেন। প্রয়োজন🔜ে বেশকিছু নির্ভরযোগ্য শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র বা ডে কেয়ারে সন্তানকে রাখতে পারেন। ু
কাজে তাড়াহুড়ো না
কাজে ফিরেই চাপ নিবেন না। ধীরে ধীরে নিজেকে কর্মক্ষেত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্য করুন। তাড়াহুড়ো না করে নিজেকে মানিয়ে ন🤡িন। সন্তানের জরুরি প্রয়োজনে যেন ছুটি নিতে পারেন, সে বিষয়েও অফিসে কথা বল🀅ে রাখুন।
দায়িত্ব ভাগাভাগি করুন
মায়ের যেমন দায়িত্ব রয়েছে, বাবারও তেমনই দায়িত্ব থাকে। সন☂্তানের দায়িত্ব দুজনই ভাগ করে নিন। সন্তানের কাজগুলো একসঙ্গে করুন। সারাদিন অফিসের কাজ করে বাসায় এসে মায়েরা যেমন বাচ্চার দেখাশোনা করবেন। বাবাকেও একইভাবে দায়িত্ব নিয়ে সন্তানকে সময় দিতে হবে। নয়তো নতুন মায়েরা বিষণ্ণ🍨তায় ভুগবেন।
নিজের যত্ন নিন
সন্তান আর꧋ অফিস, সংসার সামলে নিতে 𒐪গিয়ে নিজের প্রতি অযত্ন করলে চলবে না। বরং সপ্তাহের কিছু সময় নিজের জন্যও রাখুন। প্রত্যেক নারীর মধ্যে সাময়িক বিষণ্ণতা কাজ করে। বাচ্চা জন্মের পর সব স্বাভাবিক করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এজন্য নিজের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।
পরিবারের সহযোগিতা
পরিবারের সহযোগিতা ছাড়া কিছু করাটা সত্যিই কঠিন। তাই কর্মক্ষেত্রে ফেরার আগে পরিবারের সহযোগিতা নিꩵন। সন্তানের দেখাশোনা, আপনার কাজের গতিশীলতা সবদিকই সুন্দরভাবে সামলে নিতে পারবেন। কর্মজীবী মাকে অবশ্𝄹যই সাহস দেবেন। বাচ্চার থেকে দূরে থাকায় মায়ের মনে কোনো অপরাধবোধ যেন না জন্মে তা খেয়াল রাখুন। স্বামীকেও এক্ষেত্রে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। নয়তো একটু সহযোগিতা না পেলে হয়তো মাকে চাকরিটাই ছেড়ে দিতে হবে।