রান্নার কাজ তাড়াতাড়ি হওয়ার জন্য আমরা হাতের কাছে রান্না ঘরেই রান্না করার সমগ্রী রেখে দেই। এমনকি বাজার থেকে আনা শাক সবজি, ডিম সবকিছুই রান্নাঘরে রেখে দেই। কিন্তু সবকিছুই কি রান্না ঘরে রাখা যায়? রান্না ঘরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক তাপমাত্💫রার চেয়ে বেশি থাকে। তাই রান্না ঘরে সবকিছু সংরক্ষণ করা যাবে না। রাখলে খাবারের সতেজতা হারাবে। চলুনে ♔দেখে নেই রান্নাঘরে কোন কোন খাবার রাখা ঠিক না-
ঝটপট ডিম ভেজে ফেলার সুবিধার্থে অনেকেই আছেন ডিম রান্না ঘরেই রেখে দেন। কিন্তু রান্নাঘরে ডিম সংরক্ষণ করলে তা দ্রুত নষ্ট হয়ে যে💮তে পারে। রান্নাঘরের তাপমাত্রার উঠানামার কারণেই ডিম দ্রুত পচে যাবে। তাই রান্নাঘরে তা রাখা ভালো।
পাউরুটি এনে অনেকেই ফ্রিজে রেখে দেন অথবা রান্নাঘরে। কিন্তু পাউরুটি কেনার পর সবচেয়ে ভালো হলো টাটকা টাটকা খেয়ে ফেলা। টাটকা না খেলে কক্ষতাপমাত্রায় রাখুন। ফ্রিজের নিম্ন তাপমাত্রায় পাউরুটি তার স্বাভাবিক আর্দ্রতা হারিয়ে ফেলে। ফলে একদিকে যেমন পাউরুটি শক্ত হয়ে যায়, অন্যদিকে এর স্বাদ আর পুষ্টিমানও কমে যায় বেশ♐ খানিকটা। আবার রান্নাঘরে রাখলে রান্নাঘরের বেশি তাপমাত্রার কারণে পাউরুটিতে দ্রুত ছত্রাক পড়ে যায়।
রান্নাঘরে পেঁয়াজ রেখে দিলে তা অঙ্কুরিত হতে পারে। তাই পেঁয়াজ রান্নাঘরে না রাখাই ভালো। পেঁয়াজ সংরক্ষণ করার সর্বোত্তম উপায় হলো প্যান্ট্রির মতো শীতল, শুকনো জায়গা। খোলা বাতাসে রাখতে♒ পারেন।
টমেটো কাচা বা পাকা উভয় অবস্থায় খাওয়া যায়। তাই অনেকেই কাঁচা টমেটো কেনে এনে রেখে দেয় রান্নাঘরে। কিন্তু এভাবে রাখা যাবে না। কারণ এটি খোলা জায়গায় রেখে দিলে দ্রুত পেকে যেতে পারে। এর෴ পরিবর্তে একটি ছায়াযুক্ত জায়গায় রাখুন। পাকা টমেটো হলে ফ্রিজে সংরক্ষꦍণ করা ভালো।
আলু শীতল, অন্ধকার পরিবেশের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত। তাই আলু খোলা জায়গায় না রেখে ক্যাবিনেটে রাখায় ভালো। আর রান্নাঘরে রেখে দিলে তা আলোর সংস্পর্শে আসে, যার ফলে তা দ্রুত অঙ্কুরিত হয়। অঙ্কুরোদগম এড়াতে, বাতাস চলাচল করে এমন ব্যাগে সংরক্ষণ কর⛄ুন বা ছায়াযুক্ত স্থানে রাখুন। এতে আলু দীর্ঘদিন ভালো থাকবে এবং স্বাদও বজায় থাকবে।