• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৯ ভাদ্র ১৪৩১, ৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


পিএইচডি ডিগ্রিধারীরা কেন বিদেশে শ্রমিক হিসেবে যেতে চান


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুলাই ৮, ২০২৪, ০১:০৩ পিএম
পিএইচডি ডিগ্রিধারীরা কেন বিদেশে শ্রমিক হিসেবে যেতে চান
প্রতীকী ছবি

বিদেশে ড্রাইভার ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী চাকরিতে আবেদন করেছে বাংলাদেশে অনেক পিএইচডিধাধারী ব্যক্তি। সম্প্রতি এমনই তথ্য উঠে এসে🐭ছে ꦬদ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের এক প্রতিবেদনে।

বিদেশে চাকরির জন্য আগ্রহী বাংলাꦕদেশি নাগরিকদের সেবা প্রদানের জন্য সরকারের চালু করা ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপ পর্যালোচনা করে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, অ্যাপটিতে নিবন্ধন করেছেন ২ হাজღার ৪৭৭ জন বিদেশ গমনেচ্ছু পিএইচডিধারী। যাদের চার ভাগের তিন ভাগই বিদেশে যাওয়ার জন্য কায়িক শ্রমের কাজ বেছে নিয়েছেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অতি উচ্চশিক্ষিতের মধ্যে ১ হাজার ৮৭৯ জন অ্যাপটিতে থাকা বিভিন্ন পেশার মধ্যে ‘শ্রমিক’ হিসেবে ক😼াজের আগ্রহও প্রকাশ করেন।

এসব পিএইচডিধারীদের বাইরে, ৫০ হাজার স্নাতক ও স্নাত🎃কোত্তর ডিগ্রিধারীও একইভাবে অভিবাসনের প্রচলিত গন্তব্যগুলোয় গিয়ে স্বল্প-দক্ষতার কর্মসংস্থানে নিযুক্ত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

অন্যান্য সাধারণভাবে নির্বাচিত কাজের মধ্যে আছে ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে পরিচ্ছন্নতা কর্মী, গাড়িচাল๊ক, সাধারণ শ্রমিক, হোটেল বয়, সেলস ম্যান, অফিস সহকারী, নির্মাণ শ্রমিক, ইলেকট্রিশিয়ান, ওয়েটার এবং কম্পিউটার অপারেটরের চাকরি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের কর্মসংস্থান বাজারে চাকরি না পাওয়ার হতাশা থেকে অনেক উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তিই বিদেশে স্বল্প-দক্ষতার কাজ নিতেও আগ্রহী হয়ে থাকতে পারে। তাদের অনেকেই হয়তো মনে করছেন, অ্যাপে নিবন্ধনের সময় কম দক্ষতার পেশা নির্বাচনের অপশন রাখলে তারা বাইরে যাওয়ার 🌟ক্ষেত্রে বাড়তি সহায়তাও পাবেন। বাংলাদেশের শিক্ষিত জনশক্তির মধ্যে কর্মসংস্থানের প্রত্যাশার একটি বড় ও উদ্বেগজনক পর🎃িবর্তন ঘটারও বার্তা দিচ্ছে এই প্রবণতা।

অভিবাসন বিশেষজ্ঞ💯 এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দা রোজানা রশীদ বলেন, ধারণা করা যায় যে দেশে কর্মসংস্থান༺ের অভাব আছে। সে কারণে মানুষ তাদের নিজের যোগ্যতার চাইতে নিচের জবের জন্য আবেদন করছে। যেটা তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতার সাথেও সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। দ্বিতীয়ত, হতে পারে যে তারা ভাবছেন এটা বিদেশ গিয়ে স্থায়ী হওয়ার একটা সুযোগ, এবং একবার যেতে পারলে অনেকেই আর ফেরত আসে না; উন্নত জীবনের সন্ধানে অন্যান্য পেশার দিকে চলে যায়। এটা মনে করেও তারা আবেদন করতে পারে।

সরকারি প෴ৃষ্ঠপোষকতা প্রাপ্ত আমি প্রবাসী অ্য🐼াপ ও ওয়েব পোর্টাল চালু করা হয় বিদেশে কর্মসংস্থানে আগ্রহী বাংলাদেশীদের সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে। এই অ্যাপের মাধ্যমে প্রবাসে কর্মসন্ধানীরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী পাঁচটি কাজ ও গন্তব্য নির্বাচন করতে পারেন।

অ্যাপে বিশ্বের ১৮০টি দেশে ৫১৫ ধরনের কাজের মধ্যে থেকে পছন্দের কাজ ও গন্তব্য বেঁছে নেওয়ার সু💜যোগ রয়েছে। এর সাথে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের।

🍃গন্তব্যগুলোর মধ্যে রয়েছে, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া🎃, ওমান, কাতার, কুয়েত, ইতালি, সিঙ্গাপুর, বাহরাইন, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও যুক্তরাজ্য। 

Link copied!