করো⛄নাকালে ফুলে ওঠা ভারতের টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া প্রধান আদর পুনাওয়ালা লন্ডনে একটি ব🐎িলাসবহুল বাড়ি কিনলেন।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা এক 🎀প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
সেরাম টিকার সাম্রাজ্যে আধিপত্য বিস্তার করে বহুদিন আগেই দেশ ছাড়িয়ে বিলেতে বিস্তার শুরু করেছে। এবার লন্ডনের অন্যতম ব﷽িলাসবহুল বাড়িটিও কিনলেন সেরাম প্রধান। বাড়ির নাম মে ফেয়ার ম্যানসন। সংবাদসংস্থা ফিনান্সিয়াল টাইমসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই বাড়ি লন্ডনের সবচেয়ে দামি বাড়িগুলোর একটি। মূলত লন্ডনের সেরা দামি বাড়ির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মে ফেয়ার ম্যানসনের নাম।
লন্ডনের হাইড পার্কের কাছে লাল ইটের দেয়ালে নির্মিত শিল্পশৈলীর বাড়িটি বরাবরই তার সৌন্দর্যের জন্য প্রশংসিত হয়ে আসছে। লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার সিটিতে ১৯২০ সালে এই বাড়ি তৈরি করেছিলেন অ্যাবারক🐻নওয়ের শিল্পপতি হেনরি ম্যাকলারেন। তার পদবির সম্মানে এই বাড়ির নামকরণ করা হয় ‘অ্যাবারকনওয়ে হাউস’।
বহুবার হাতবদলꦇ হয়ে বাড়িটি আসে পোল্যান্ডের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি জ্যান কুলজিকের হাতে। তার মৃত্যুর পর উত্তরাধিকার সূত্রে বাড়িটি তার কন্যা ডমিনিকা কুলজিক পান। আদর বাড়িটি কিনেছেন ডমিনিকার কাছ থেকেই।
ছয়তলা উঁচু এই বাড়িতে রয়েছে ছয়টি শোবার ঘর, দুইটি বড় খোলা বারান্দা, অতিথিদের স্বাগত জানানোর রিসেপশন রুম, বড় বসার ঘর, খাবার ঘর, অতিথিদের থাকার ঘর, গ্রন্থাগার, সবজিবাগান সংলগ্ন রান🃏্নাঘর। তবে এই বাড়ির সবচেয়ে বড় আকর্ষণ এর রিসেপশন রুমটিই।
৩৫ ফুটেরও বেশি উঁচু এই ঘরের ছাদ। তার দেওয়ালের অর্ধেক কাচের। মাটি থেকে ছাদ পর্যন্ত উঠে গেছে সে൲ই কাচের দেয়াল। তবে শুধু স্থাপত্যশৈলী বা আয়তনেই নয়, এই বাড়ির মাহাত্ম্য লুকিয়ে আছে তাꦬর ইতিহাসেও। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বহু গুপ্ত বৈঠকের সাক্ষী এই বাড়ি।
আদর বাড়িটি কিনতে খরচ করেছেন ১৩ কোটি ৮০ লাখ ব্রিটিশ পাউন্ড। যা ভারতীয় মুদ্রায় ১৪৪০ কোটি ৮৭ লাখ 💧টাকা। এই বাড়িটিই নিজেদের লন্ডনের ঠিকানা হিসাবে ব্যবহার করবে পুনাওয়ালা পরিবার।
যদিও আদরের পরিবারের ঘনিষ্ঠসূত্র একটি সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, বাড়ি কিনলেও এখনই ভারত ছেড়ে পাকাপাকিভাবে লন্ডনে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই পুনাওয়ালা পরিবারের। আপাতত বাড়িটি সেরামের লন্ডন শাখার অতিথি নিবাস হিসাবেও ব্যবহার করা হতে পারে🃏।
মোদি সরকার সেরামকে ২০🎃২০ সালে ভারত ও তার বন্ধু দেশগুলোর জন্য বিপুল টিকা তৈরির দায়িত্ব দিয়েছিল। তাদের তৈরি কোভিশিল্ড টিকা এখনও নিচ্ছে ভারতের জনগণ। টিকা উৎপাদন এবং বিক্রির তালিকায় এখনও বিশ্বের এক নম্বর সংস্থা সেরাম। প্রতি বছরে তাদের ভান্ডারে ১১ হাজার🎐 ১১৬ কোটি টাকা আসে।