প্রতিদিন সকালে ইরশাদ বিবি (৩৮) তার এক রুমের বাসা থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার হেঁটে পাকিস্তানের ইসলামাবাদের শহরতলির একটি নিম্ন আয়ের পাড়া মেহরাবাদিতে যান কাজের আশায়। প্রায় এক বছর আগে বিবি তার হেপাটাইটিস-সি-তে আক্রান্ত অসুস্থ স্বামীর দেখাশোনার জন্য গৃহপরিচারিকার চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন। চার 𒐪মাস আগে তার স্বামী মারা যান। এরপর থেকে পাঁচ সন্তানের এই জননীর আয়ের কোনো নির্দিষ্ট উৎস নেই।
আল-জাজিরাকে তিনি বলেন, 🦂“এমন দিনও ♑যাচ্ছে যখন আমি ও আমার বাচ্চারা পানি ও সম্ভবত এক টুকরো রুটি ছাড়া কিছু না খেয়েই ঘুমাতে যাই।”
তিনি আরও বলেন, “আমার রুমে একটি ফ্যান ও একটি বাল্ব রয়েছে। তবুও গত মাসে আমার (বিদ্যুতের) বিল ৯ হাজার রুপি এর বেশি এসেছে। আগে যেখানে কখনও ১ হাজার ৫০০ রুপির বেশি বি🗹ল আসতো না। আমি কীভাবে এখন এই বিল পরিশোধ করবো?”
বিবির মতো পাকিস্তানের লাখ লাখ মা𝕴নুষ এ অভূতপূর্ব সমস্যায় পড়ছেন। যা মূ💖লত অর্থনৈতিক সংকটে পড়া দেশটির জুলাইয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ৩ বিলিয়ন ডলার আর্থিক বেলআউট নেওয়ার ফল।
আইএমএফের প্যাকেজের জন্য দে▨ওয়া শর্ত🌼ের মধ্যে ছিল জ্বালানি ও বিদ্যুতের উপর সরকারের ভর্তুকি অপসারণ করা। যার ফলে দেশটিতে বিদ্যুতের দাম ২৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
একই সময়, ডলারের বিপরীতে পাকিস্তানি রুপির অবমূল্যায়ন চলছেই। ১ ডলার জুলাইয়ের শুরুতে ২৭৫ রুপি ছিল। যা শুক্রবার (৮💛 সেপ্টেম্বর) ৩০২꧃ এ পৌঁছেছে।
সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, আগ🐠স্টে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৩৮ শতাংশের বেশি ছিল। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বৃদ্ধির কারণে চলতি মাসে এটি আরও বাড়তে পারে।
দেশটির সর🎃কার স্পষ্টভাবে বলেছে , আইএমএফ বেলআউটඣ পাকিস্তানের দরিদ্রদের জন্য বিধ্বংসী হওয়ার পরও বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম কমানো হবে না।