জাপানে যৌনসম্পর্ক ছাড়াই বছরের পর বছর কাটিয়ে দিচ্ছেন কয়েক কোটি বিবাহিত দম্পতি। তারা একসঙ্গে থাকলেও যৌনতা নিয়ে কোনো আগ্রহ নে🌊ই। ফলে দেশটিতে জন্মহার উদ্বেগজনক ▨হারে কমে যাচ্ছে।
শুধু তাই নয়, কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণীদের মধ্যেও যৌন সম্পর্কের হারও কমে যাচ্ছে। তারা প্রথম চুম্বনের অভিজ্ঞতাও হারাতে বসেছেন🐭। ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের মধ্যে এই হার আরও কম। ছেলেমেয়েরা যৌনতায় আগের চেয়ে অনীহা বোধ করছেন বেশি।
জাপান সেক্স এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন পরিচালিত দুটি সমীক্ষায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। জাপানের ১২ হাজার ৫🐓৬২ জন ছাত্র-ছাত্রী সমীক্ষায় অংশ নেয়। ১৯৭৪ সাল থেকে এই সমীক্ষা শুরু হয়। প্রতি ছয় বছর অন্তর এই সমীক্ষা চালানো হয়। এবারের ফলাফল সবচেয়ে নেতিবাচক। যা জন্মহার নিয়ে নতুন উদ্বেগ তৈরি করেছে।
পরিচালিত প্রথম সমীক্ষায় দেখা যায়, ১৫-১৮ বছর বয়সি প্র👍তি চারজন কিশোরের মধ্যে মাত্র একজনেরই প্রথম চুমু নেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে। কিশোরীদের মধ্যে এই হার আরও কম, ম𒈔াত্র এক চতুর্থাংশের বেশি কিশোরী প্রথম চুমুর স্বাদ নিয়েছেন। খবর বিবিসি’র।
মুসাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানী ইউসুকে হায়াশির মতে, কোভিডের সময় স♚্কুল বন্ধ থাকা ও শারীরিক যোগাযোগের ওপর বিধিনিষেধের ক🅺ারণে অনেক কিশোর-কিশোরী যৌনতা সম্পর্কে আগ্রহ হারিয়েছে।
দ্বিতীয় সমীক্ষায় দেখা গেছে, জাপানের অর্ধেকের বেশি বিবাহিত দম্পতি যৌন সম্পর্কহꦰীন। গত কয়েক বছর ধরে এই সংখ্যা না কমে বরং বেড়েছে। যৌথ জীবন যাপন করলেও দম্পতিদের মধ্যে যৌনতা একেবারেই থাকছে না।
এর আগে ২০১৭ সালে পরিচালিত এক জরিপে অংশগ্রহণকারী ২২ শতাংশ জাপানি বিবাহিত নারী যৌনতাকে ꦫবিরক্তিকর বলে উল্লেখ করেছেন। আর ৩৫.২ শতাংশ জাপানি পুরুষ মনে করেন কাজের পর ক্লান্তির জন্য যৌনতা নিয়ে তাদের কোনো আগ্রহ থাকে না। এসব কারণে জাপানে দিন দিন জনসংখ্যা কমছেই।
বিশেষজ্ঞদের মতে, জীবনযাত্রার ব্যয়, শিক্ষা আর কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশꦦগ🍸্রহণ বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি জন্মনিরোধক ব্যবস্থার সহজলভ্যতার কারণে জাপানে নারীরা সন্তান নেয়ার আগ্রহ হারাচ্ছেন। কিছু গবেষক আশঙ্কা করছেন, বর্তমানে সাড়ে ১২ কোটি জনসংখ্যা থাকা জাপানের জনসংখ্যা শতাব্দীর শেষ নাগাদ ৫ কোটির নিচে নেমে আসতে পারে।