• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৪, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১, ১১ রবিউস সানি ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


তলানিতে নামল ভারত-কানাডার সম্পর্ক


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৫, ২০২৪, ০২:০৮ পিএম
তলানিতে নামল ভারত-কানাডার সম্পর্ক
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি: সংগৃহীত

কানাডার শিখ নাগরিক হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যার জের ধরে ভারত আর কানাডার সম্পর্ক এখন একেবারে ত𓆉লানিতে নেমেছে। উভয় দেশই নিজদের দেশ থেকে ছয়জন কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে। ফলে দুই দেশের সরকারপ্রধানরা এখন পরস্পﷺরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তীর ছুঁড়ছে।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, ভারতীয় এজেন্টরা কানাডায় হরদীপ সিং হত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে। এখন তা প্ౠরমাণিত। ট্রুডোর এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত। ফলাফল হিসেবে কানাডা ছয় ভারতীয় কূটনীতিককে দেশে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে। ভারতও পাল্টা একই কাজ করেছে কানাডার কূটনীতিকদের সঙ্গে। খবর রয়টার্স ও এপির।

গেল বছরে ভ্যানকুভারে খুন হন কানাডার শিখ নাগরিক হরদীপ সিং নিজ্জর। যিনি আলাদাﷺ শিখ রাষ্ট্রের জন্য আন্দোলন করছিলেন। যে আন্দোলন ‘খালিস্তান আন্দোলন’ নামে পরিচিত। ঘটনা তদন্তে রয়্যাল মাউন্টেড পুলিশকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। প্রাথমিক তদন্তের পর কানাডা জানায়, ঘটনার পেছনে ভারতীয় এজেন্টদের হাত𓆏 আছে।

সর্বশেষ সোমবার (১৪ অক্টোবর) রয়্যাল মাউন্টেড পুলিশ জানায়, হরদীপ হত্যার ঘটনাসহ আরও বেশ কিছু ঘটনায় ভারতীয় এজেন্টদের জড়িত থাকার স্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে। কানাডার অভিযোগ, হরদীপ খুনের ঘটনায় ভারতীয় এজেন্টরা যে জড়িত ছিল🌱, তা এখন স্পষ্ট। তদন্তে বিষয়টি উঠে এসেছে।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সার্বভৌম কানাডার মাটিতে হামলার ঘটনায় কূটনীতিক এবং এজেন্টদের ব্যবহার করে ভারত মস্ত বড় ভুল করেছে। ভারতের এই কাজ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া♏ যায় না। ট্রুডো জানান, কানাডার মাটিতে কানাডার নাগরিকܫদের সুরক্ষা দেওয়া তার প্রথম এবং প্রাথমিক কর্তব্য। অন্য কোনো দেশ তার দেশে এসে হত্যার ঘটনা ঘটাবে, তা কোনোভাবেই মেনে নেবেন না।

কানাডার পদক্ষেপের পর জবাব দিয়েছে নয়াদিল্লি। ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কানাডার মন্তব্য ভিত্তিহীন। ভারত বারবার তাদের কাছে তথ্যপ্রমাণ চেয়েছে। কিন্তু কানাডা এখন পর্যন্ত তা দিতে পারেনি। রাজনৈতিক কারণে কানাডা এই 🔴মন্তব্য করছে বলেও অভিযোগ করেছে ভারত। কানাডার পদক্ষেপের পাল্টা জবাব দিতে ভারতও কানাডার ছয় কূটনীতিককে আগামী শনিবারের মধ্যে নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

মাউন্টেড পুলিশের তদন্ত থেকে চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে। একাধিক সহিংসতার ঘটনায় ভারতীয় এজেন্টদের সক্রিয়তা লক্ষ্য করা গেছে। খুনের ঘটনায় তাদের সরাসরি সংযোগ মিলেছে। ক𝓡ানাডায় বসবাসকারী দক্ষিণ এশীয়দের হুমকির মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। কানাডার গণতান্ত্রিক সার্বভৌম চরিত্রে আঘাত করা হয়েছে। তদন্ত চলাকালেও ভারতীয় এজেন্টরা কানাডার মাটিতে সক্রিয় ছিল। একের পর এক অঘটন ঘটিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

Link copied!