রাশিয়ার ইজেভস্ক শহরের একটি স্কুলে সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বন্দুক হামলার ঘটনায় ১৫ জন নিহত হয়েছেন﷽। এর মধ্যে ১১ জনই শিশু। এছাড়া আহত ২১ জনের মধ্যে আছে ১৪ জন্য শিশু। সিএনএন জানায়, নিহতের মধ্যে আছে স্কুলের নিরাপত্তা কর্মীও।
এর আগে ৭ শিশুসহ🐭 অন্তত ১৩ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল। হামলাকারী নিজের বন্দুকের গুলিত🥃ে আত্মহত্যা করেন। ফলে জানা যায়নি হামলার উদ্দেশ্য। তবে জানা গেছে, হামলাকারীর পরনে ছিল নাৎসি বাহিনীর লগোসহ কালো টি-শার্ট।
রাশিয়ার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হামলাকারীর নাম আরতেম🎐 কাযান্তসেভ। তার জন্ম ১৯৮৮ সালে। তিনি একই স্কুলের এলামনাই সদস্য ছিলেন। তারা এই ব্যক্তির নাৎসি মতবাদে বিশ্বাসী হওয়ার প্রমাণ পেয়েছেন।
এ ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে এলাকাটি ঘিরে ফেলে পুলিশ। এরপর সেখানে পৌঁছায় অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি সেবা। জানা যায়, শহরের ৪৪ নম্বর স্কুলে এই হামলা চালানো হয়েছে। উদমুর্তিয়ার গভর্নর ঘটনাস🃏্থল পরিদর্শন করেছেন।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর মাত্র সাত মাসের মধ্যেই যুদ্ধ করার লোক পাচ্ছে না রাশিয়া। সম্প্রতি রিজার্ভ থেকে তিন লাখ সেনা সমাবেশের ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিম🍸ির পুতিন। তবে ঘোষণার পরপরই ফুঁসে ওঠে রুশরা। তারা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানায়। এ ঘটনায় আটক করা হয় প্রায় ১ হাজার ৩০০ জনকে। পাশাপাশি দেশ ছাড়তে শুরু করে যুদ্ধে যাওয়ার উপযুক্ত যুবকরা।
এমন পরিস্থিতিতে শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) একটি ডিক্রি জারি করেছেন পুতিন। এতে বলা হয়েছে, কোনো সৈন্য যদ💜ি আত্মসমর্পণ করে, সেনাবাহিনী থেকে পালিয়ে যায় অথবা যুদ্ধ করতে অস্বীকৃতি জানায়, তাহলে তার ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। তবে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কর্মী, ব্যাংকার ও গণমাধ্যমকর্মীদের সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে হবে না বলে উল্লেখ করেছে কর্তৃপক্ষ।
পুতিনের ওই ঘোষণার 𓆉পর থেকেই রাশিয়াজুড়ে বিক্ষোভ আরও জোরালো হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করায় শত শত মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।