সম্প্রতি অনুষ্ঠিত চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে পরিচালক-প্রযোজকদের এফডিসিতে প্রবেশ করতে না দেওয়ায় সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নুজহাত ইয়াসমিনের আপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন চলচ্চিত্রের ১৮ সংগঠনের নেতৃবৃন্দಌ।
রোববার (৩০ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে এফডিসিতে অবস্থিত এমডিꦯর ভবনের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ দাবি করা হয়।
মানববন্ধনে বাংলাদেশ চলচ্চ𝓡িত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান বলেন, “বিএফডিসি ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নুজহাত ইয়াসমিন ইন্ডাস্ট্রির ভালো চান না। যদি চাইতেন তিনি আমাদের ডাকতেন, পরামর্শ করতেন। কিন্তু তিনি আমাদের সামনে আসছেন না বরং আমাদের একত্রিত হওয়ার কথা জেনে সকাল সাড়ে ৭টায় এফডিসিতে চলে আসছেন।”
সোহানুর রহমান আরো বলেন, “আমরা শিল্পী সমিতির নির্বাচনের দিন এটা নিয়ে কিছু বলিনি। আমরা চেয়েছি নি💜র্বাচনটা সুন্দরভাবে সম্পন্ন হোক। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরও আমাদের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। যার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আগামীকাল (সোমবার) থেকে এফডিসিতে কোনো কাজ হবে না। এই এমডির অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত এটি চলমান থাকবে। আমরা চাই উনি নিজ থেকে চলে যাক।”
চলচ্চিত্র পরিচালক দেলোয়ার হোসেন ঝন্টু বলেন, &ldq𝔍uo;আমরা এফডিসিতে কাজ করি, উনি (নুজহাত ইয়াসমিন) তা চান না। আমরা এফডিসিতে বেশি ভাড়া দিয়ে কাজ কর෴ছি, শুধুমাত্র এই এফডিসির জন্ম দিয়েছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এজন্য। বঙ্গবন্ধুর নাম যেন না থাকে তিনি সেটাই চাচ্ছেন। উনি মনেপ্রাণে অন্য মানুষ।”
এ বিষয়ে এফডিসির ব্যবস্পনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিন বলেন, “নির্বাচনের দিন ভোটার এবং ভোট কার্যক্রমের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ব্যতীত অন্য কেউ এফডিসির অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারবেন না, এমনটাই উল্লেখ ছিল নির্দেশিকায়। আমার অফিস থাকার পরও আমি নির্বাচনের দিন (২৮ জানুয়ারি) এফডিসিতে আসিনি। সুতরাং এফডিসির ভেতরে কারা আসতে পারবেন বা কারা আসতে পারবেন না𝓡, সেখানে আমার কোনো হাত নেই।”
এর আগে শনিবার এমডির পদত্যাগের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন ১৮ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সেখানে বলা হয়, বিএফডিসিতে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কোনো নির্বাচন আর এফডিসি’র ভেতর হতে দেওয়া হবে না। আর এফডিসির এমডি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত সেখানে শুটিংসহ সকল কাজ ব🍒ন্ধ থাকবে। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে থাকা পীরজাদা হারুনকে চলচ্চিত্রের কোনো কাজে রাখা হবে না।