১৯৯২ সালের আজকের এই দিনে অনন্তলোকে পাড়ি জম🦹ান সত্যজিৎ রায়। বিশ্ব চলচ্চিত্রের ইতিহাস অপূর্ণ যাকে ছাড়া। শুধু সত্যজিৎ রায় নন, তার পুরো পরিবারটি শিল্প সাহিত্য মাধ্যমে যে অনবদ্য সৃষ্টি রেখে গেছেন তার জন্য জাতি হিসেবে বাঙালি ঋণী।
‘সব্যসাচী’ শব্দটির ব্যাপকতা এক সত্যজিৎ রায়ের জীবনে স্পষ্ট। কী তিনি জানেন না? সিনেমা, সাহিত্যের বাইরে টাইপোগ্রাফিতে তিনি অজর। সন্দেশ সম্পা💯দনায় তার শ্রেষ্ঠত্ব। বইয়ের প্রচ্ছদ তৈরিতে তিনি অদ্বিতীয়। সুকুমার রায় পুত্র ‘মানিক’ ডাকনামের এ স্রষ্টার সংগীতে ডুব দিলে ফালতু মনে হবে একালের সুর।
সত্যজিৎ রায়ের ‘একেই বলে শুটিং’ বইটি পড়ে শিশু মন সিনেমা ভাবনায় তাড়িত হয়। সিনেমাꦛ, লেখা আর আঁকা দিয়ে তিনি নির্মাণ করেন ‘ডিরেক্টরস আই’। যিনি কুক্ষিগত করে রাখতে চান না শিল্প। বরং তার ইচ্ছে উত্তর প্রজন্মের কাছে তা বিস্তৃত করা। ‘প্রসঙ্গ চলচ্চিত্র’ বইও এর নজির।
৩৭টি পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনীচিত্র, প্রামাণ্যচিত্র ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করে বাঙালির মননে এখনও 𒈔অম্লান ১৯২১ সালের ২ মে জ🔥ন্ম নেয়া সত্যজিৎ রায়। এই মহানের আদিবাড়ি বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জে। কীর্তিময় রায় পরিবারের এই আদি ভিটে রাষ্ট্র আদৌও সংরক্ষণ করেছে কিনা জানা নেই।
বিরলতম বাঙালি সত্যজিৎ রায়কে নিয়ে মুগ্ধতা শেষের নয়। ওনার টেলিপ্যাথিতে আস্থা ছিল বলে আমরা জানি। এপার থেকেই তাই অনন্তলোকের👍 মায়েস্ত্রোকে বলি,
“মহারাজা, তোমারে সেলাম . . .”