ভারতীয় অস্কারজয়ী সুরকার ও সংগীতশিল্পী এ আর রাহমান। যিনি নিজের সুরের জাদু দিয়ে জয় করেছেন সারা বিশ্ব। সম্প্রতি দীর্ঘ ২৯ বছরের দাম্পত্য জীবনের অবসান ঘটিয়েছেন এ আর র🔯াহমান ও তার স্ত্রী সায়রা বানু।
এই নিয়ে সামাজিক মা💮ধ্যমে যখন চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা। এমন কঠিন সময়েই গোয়াতে আয়োজিত ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অব ইন্ডিয়ায় যোগ দিয়েছিলেন ‘মোজার্ট অব মাদ্রাস’। সেখানেই মানসিক স্বাস্থ্যের কথা তুলে ধরলেন বিশ্বখ্যাত এই সুরকার।
সংগীত মানুষের জীবনে কতটা প্রভাব ফেলে, সে বিষয়েই কথা বলছিলেন এ আর রাহমান। তিনি জানান, ‘যে সমস্ত মানুষদের অবসাদ ঘিরে ধরেছে, সংগীত তꦡাদের সেরে ওঠার ওষুধ হিসেবে কাজ করে।
মঞ্চে দাঁড়িয়ে রহমান বলেন, ‘কমবে𝓡শি আমাদের প্রায় সবারই মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা রয়েছে। অবসাদ রয়েছে। তার কারণ, আমার মনে হয়, আমাদের মধ্যে একটা শূন্যতা রয়েছে। আর সেই শূন্যস্থান পূরণ করতে পারেন কোনো গল্পকথক কিংবা এমন কোনো কাজ যা মানুষকে আনন্দ দেয়, যেটা করতে গিয়ে সে নিজেই জানেꦫন না যে অজান্তে সেটা ওষুধের মতো কাজ করছে। হিংসা বা যৌনতার মতো শারীরিক প্রয়োজনীয়তা মেটানোই সব নয়। জীবনের পরিধি এর থেকেও বাইরে।’
এরপরই নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের ক🏅থা শোনালেন কিংবদন্তি এই সংগীতশিল্পী। এ আর রাহমান বলেন, “ছোটবেলায় আমারও আত্মহত্যা করার কথা মনে হয়েছিল। আত্মহত্যা করার ভাবনাচিন্তা মনে আসত । তবে আমার মা একটা দারুণ উপদেশ দিয়েছিলেন।
উনি বলতেন‘তুমি অন্যের জন্য বাঁচলে কখনো স্বার্থপর হবে না꧃। বেঁচে থাকার অন্⛄য অর্থ খুঁজে পাবে।’ সেই কথাগুলো জীবনে মনে রেখে দিয়েছি।”
অস্কারজয়ী এই সুরকার বলেন, “এটা নিশ্চিত যে আমাদের সবারই একটা অন্ধকার অধ্যায় রয়েছে। এই বিশাল পৃথিবীতে এটা ছোট্ট সফর মাত্র। আমরা জন্ܫমেছি এবং আমরা চলেও যাব। আমরা কেউই এখানকার চিরস্থায়ী বাসিন্দা নই। আমরা কোথায় যাচ্ছি, ক✃েউ জানি না। এটি প্রতিটি মানুষের নিজস্ব কল্পনাজগত এবং বিশ্বাসের ওপর নির্ভর করে।”