ভারতে আর জি কর হাসপাতালে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা প্রতিবাদ করতে গিয়ে সাম💫াজিক মাধ্যমে ধর্ষণের হুমকি পেয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। এবার সেই হুমকির স্ক্রিনশট প্রকাশ্যে আജনার পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের সাইবার অপরাধ দমন শাখায় অভিযোগ করেছেন এই নায়িকা ও সাবে সংসদ সদস্য।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে লিখেছে, মিমির অভিযোগের পর তদন্তে নেমেছে পুলিশ। অভিনেত্রী এক্সে জানিয়েছেন, "সাইবার ক্রাইম বিভাগের সাহায্যে ধর্ষণের হুমকির বিষয়ে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। যে সমস্ত অ্যাকাউন্টগুলো থেকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল, সেগু𒐪লোকে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়েছে চিরতরের জন্য।
“পুলিশ চেষ্টা করছে, সেই দুজন প্রধান অভিযুক্তকে খুঁজে বের করতে। কারণ তারা আপাতত ধর্ষণের হুমকি দেওয়া সব কমেন্টগুলো মুছে ফেলেছেন🤪 এবং পালিয়ে আছেন।"
আর জি কর হাসপাতালের নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা প্রসঙ্গে মিমি লিখেছেন, "আমরা একজন মহিলার জন্য ন্যায়বিচার চাইছি। এখন ধর্ষণের হুমকিকে নর্মলাইজ করে ফেলেছে এই বিষাক্ত পুরুষ সমাজ। একই সঙ্গে ভিড়ের 🐻মধ্যে মিশে গিয়ে বলছে যে তারা নাকি মেয়েদের পাশে আছেন! এটা কোন শিক্ষার পরিচয়?"
অশ্লীল🍌 মন্তব্যের প্রতিবাদে এর আগে এক ভিডিও শেয়ার করে ‘পুরুষতান্ত্রিক’ সমাজের উদ্দেশে মিমি বলেছেন, "আমাকে নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করে বা হুমকি দিয়ে দমিয়ে রাখা যাবে না। আমি জন্মগত নির্ভীক। প্রতিটা মেয়েই তাই। আমাদের লড়াই সেইসমস্ত মানুষগুলোর বিরুদ্ধে যারা আমাদের, মেয়েদের বিরুদ্ধে কথা বলে। যারা নিজেদের 🌃আমাদের থেকে শক্তিশালী লিঙ্গের মানুষ বলে ভাবে। নির্লজ্জ। তাদের লজ্জা হওয়া উচিত।"
আর জি কর কাণ্ডের পর নির্যাতিতার পরিবার🔯কে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রস্তাব রেখেছিলেন কলকাতার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু ওই পরিবার সেই টাকা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
ওই ঘটনা লিখে এক্সে মিমিকে ধর্ষণের হুমকি দিয়ে একজন লিখেছেন, "আজ এই কাণ্ড যদি মিমির সঙ্গে ঘটত তাহলে কী করত মিমি? তার পরিবারকে ১০ লাখ টাকা দেওয়া হত নাকি? তাহলে মিমিকে আমার ঘরে পাঠিয়ে দিলে আমি তার 💖পরিবারকে ১০ লাখ টাকা দিয়ে দেব।" সেইসব স্ক্রিনশট নিয়েই সাইবার সেলে অভিযোগ জানিয়েছেন মিম𒆙ি।
গত ৯ অগাস্ট কলকাতার আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালেﷺ কর্তব্যরত অবস্থায় ধর্ষণের শিকার হন ৩১ বছর বয়সী ওই শিক্ষানবিশ নারী চিকিৎসক। গত ৮ অগাস্ট থেকে তিনি টানা ৩৬ ঘণ্টꦏার ডিউটিতে ছিলেন, রাতে সহকর্মীদের সঙ্গে খাবার খেয়ে তিনি পালমোনোলজি বিভাগের সেমিনার হলে বিশ্রাম নিতে যান। সেখানে সকালে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
ময়নাতদন্তে নিহত চিকিৎসকের শরীরে চরম যৌন নির্যাতনের প্রমাণ মেলে। এরপরই উত্তাল হয়ে ওঠে আর জি কর হাসপাতালসহ পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি। ক্ষোভে-প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষরাও।