নন্দিত অভিনেতা আফজাল হোসেন। অভিনয়ে তাকে দেখা না গেলেও সামাজিক মাধ্যমে তিনি সরব। অনলাইনে কেনাকাটার🦂 ক্ষেত্রে নানাভাবে প্রতারিত হয়েছেন বরেন্য এই অভিনেতা। সম্প্রতি আবারো অন🌠লাইনে প্রতারণার শিকার হলেন এই অভিনেতা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তেমনই একটি ঘটনা তুলে ধরলেন আফজাল হোসেন । সংবাদ প্রকাশ পাঠকের জন্য প্রতারণার ঘটনা তুলে ধরা হলো। আফজাল হোসেন লিখেছেন— এই অনলাইনের সুবিধা এসে অনেক মানুষ নিজের পায়ে দাঁড়ানোর সাহস ও স্বনির্ভর হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। অনেকেই এ সুবিধা থাকার কারণে নিজের ভেতরে যে সৃজনশীলতা আছে, তার চর্চায় নিবেদিত হওয়ার প্রেরণা পেꦕয়েছেন এবং প্রতিষ্ঠার পথেও এগিয়ে চলেছেন। বহুরকমের খাদ্যদ্রব্য, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে উৎপাদিত বিখ্যাত পণ্যসমূহ অনলাইনে ঘরে বসেই কেনাকাটা করার সুযোগ হয়েছে বলেই মানুষ বহু নতুন এবং অচেনা পণ্যদ্রব্যে আগ্রহী হন, কেনাকাটা করে থাকেন।
এই অভিনেতা লিখেছেন, ভেবে দেখুন, সবাই কিন্তু গুরুত্ব দিয়ে পণ্য ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি বিশ্বাস স্থাপনের চেষ্টা করে থাকেন। সবাই জানেন ও মানেন— বিশ্বাসী করে তুলতে না পারলে ক্রেতা অনলাইনে কেনাকাটা করতে চাইবেন না। দুনিয়া টিকে আছে ভালো মানুষ ও মানুষের ভালো গুণপনার কারণে; কিন্তু কী ভালো আর কী মন্দ তা বুঝতে বা আলো কত দরকারি তা বুঝাতে জগতে অন্ধকারও দিয়েছেন সৃষ্টিℱকর্তা। তার বিচিত্র উদাহরণ প্রায়ই দেখা যায়, চোখে পড়ে।
আফজাল হোসেন আরও লিখেন, আজ নিয়ে অনলাইন কেনাকাটায় আমি তিনবার দারুণভাবে ঠকেছি। প্রথমবার একটা ছোট্ট বেডসাইড টেবিল কিনে একদিনও ব্যবহার করতে পারিনি। দ্বিতীয়বার ঠকেছি মোবাইল ফোনের চার্জার ক্যাবল কিনে। তা একবারও ব্যবহার করা যায়নি। যোগাযোগ করলে তারা বদলে দেবে বলেছিল, শেষ পর্য💙ন্ত দেয়নি এবং পরে আর যোগাযোগও করা যায়নি। কিছু দিন পর লক্ষ্য করেছি— এরা দুই-তিনটি পেজ খুলে একই পণ্য বিক্রি করে থাকে। তার মানে, তারা আগে থেকেই জানে একবার পণ্যটি কেউ কিনলে পরে একই ঠিকানা থেকে খারাপ পণ্যটি কিনবে না। এ রকম মনোভাব থাকা মানে অসাধুতা। এত অসততা দিয়ে তো ব্যবসায়ে উন্নতি হওয়া মোটেও সম্ভব নয়। তা হলে এসব কাণ্ড কেন করে থাকে মানুষ?
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া অভিজ্ঞতা তুলে ধরে এ অভিনেতা লিখেছেন— আজ সকালে মনে হলো কেউ আমার কান মলে দিয়েছে। মনে 💜হলো অকারণেই দুই-তিনটা থাপ্পড় খেলাম। আমি ছবি আঁকি। রঙের টিউব, কৌটা রাখার জন্য চাকা লাগানো ট্রলিপ্যাক কেনা হয়েছিল দোকান থেকে। দুটো ছিল, আর একটা হলে ভালো হতো মনে করে ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেখে অনলাইনে অর্ডার দিয়ে ফেলি। গতকাল সেটি বাসায় আসে। আজ সকালে বাক্সটা খুলি। খুলেই হা হয়ে যাই। এত খারাপ মানের সেটি, মনে হচ্ছে ব্যবহার না করে ফেলে দিতে পারলেই ভালো।
এসব যারা করছেন, তাদের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আফজাল হোসেন বলেন, মানুষ এতটা অন্যায় করে কীভাবে? এটা তো শতভাগ প্রতারণা। ক্রেতা পয়সা দিয়ে জিনিস কিনবে, কিন্তু বিক্রেতা ভালো করেই জানে— জিনিসটা কিনে কেউ ব্যবহার করতে পারবে না। ফেসবুকে ভালোদের সঙ🌳্গে খুব খুব খুব খারাপ বিক্রেতা ব্যবসায়ীও আছে। যারা ছবিতে যা দেখায় তেমন পণ্য সরবরাহ করে না। এরা অতিমাত্রায় অসৎ, অবিবেচক—এদের কাছ থেকে পণ্য কেনার সময় ভেবেচিন্তে, দেখে বুঝে ও সাবধানে কেনাই উচিত।
অনলাইন ক্রেতাদের সাবধান হওয়ার পরামর্শ অভিনেতা বলেন, সর্বদা সাবধানে থাকতে হবে চীন দেশ থেকে আমদানিকৃত পণ্যের বেᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ🅺ᩚ𒀱ᩚᩚᩚলায়। তার মানে এই নয়, চীনের পণ্য খারাপ হয়ে থাকে। আমাদের দেশে অতি মন্দ শ্রেণির একদল ব্যবসায়ী রয়েছে, যারা বেশি লাভের আশায় চীন থেকে কম দামের খুবই নিম্নমানের পণ্য আমদানি করে থাকে।
অভিনেতা লিখেন, বুঝি না এত ফন্দিফিকির করে কোনোকালে কেউ উন্নতি লাভ করতে পেরেছে কিনা? হতে পারে এরা বিশেষ চরিত্রের— প্রতারণা করে তারা সুখ পায়। দশটা বা তার অধিক মানুষ খুন করেছে— এমন গৌরব করা মানুষ তো সমাজে আছে।