আসছে পূজা। আর এই পূজার পাকা প্ল্যান করে ফেলেছেন ওপার ༺বাংলার আলোচিত অভিনেত্রী নুসরাত জাহান। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার…, একথা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলেন এই অভিনেত্রী। তাই তো ছোট থেকেই দু♌র্গোৎসব উদযাপনে মেতে ওঠেন তিনি।
এবারও তার অন্যথা হবে না। নুসরতের সোশাল মিডিয়ায় উকি দিলেই দেখা যাবে প্রতিবারের মতো এবারেও শারদোৎসবের আমেজে মেতে উঠেছেন এই নায়িকা। তার কথায়, ‘শহর কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে গে🌺লেও প্রতিবারের মতোই নিয়মমাফিক মা আসছেন। তিনি যেন সকলের জীবনে শান্তি পৌঁছে দেন।’
নুসরাত ধর্মনিরপেক্ষ দেশের নাগরিক হিসেবে বরাবর সরব হয়েছেন ধর্মীয় বিভাজনের নীতি নিয়ে। ধর্মের ধ্বজাধারীদের বুড়ো ༒আঙুল দেখিয়ে নিজের শর্তে বাচেন এই অভিনেত্রী। সিঁ🌼দুর পরা নিয়ে কিংবা হিন্দুঘরে বিয়ে করা নিয়েও কম কটাক্ষের শিকার হতে হয়নি নুসরাতকে।
ইসলাম ধর্মাবলম্বী হওয়ায় ভোগ খাওয়া কিংবা অঞ্জলি দেওয়া নিয়েও কটু কথা শুনতে হয়েছে নুসরতকে। তবে দমে যাননি। তাই তো এবারেও প্রতিবারের মতো অষ্টমীতে অঞ্জলি দেবেন এবং পাতপেড়ে ভোগ খাবেন তিনি।
আর এই পুজার ඣসময়ে ফুট স্টলেও ঢু মারেন নুসরত জাহান। মা হিসেবে এখন তার দায়িত্বও অনেক। ছেলে ঈশানকে ঠাকুর দেখানোর প্ল্যান কষে ফেলেছেন ইতিমধ্যে।
পুজার এই চার দিন কলকাতা ছাড়া অন্যত্র যাওয়ার কথা ভাবতেই পারেন না নুসরত জাহান। অভিনেত্রী বলছেন, “শৈশবে দিনভর ভাইবোনদের নিয়ে প্যান্ডেল হপিং করতাম। সেগুলো মিস করি। তবে আমি ঠাকুর দেখতে ভালোবাসি। এখন অবশ্য অতিথি হিসেবে কলকাতার অনেক পুজা আগেভাগেই দেখা হয়ে যায়। তবে যশকে বলেছি একদিন আমাকে নিয়ে আলাদা করে বেরহতে। আর বাচ্চাﷺদের সঙ্গেও একটা দিন কাটানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এইসময়ে বাইরের অনেক বন্ধু𓃲বান্ধবও কলকাতায় আসে। তাদের সঙ্গেও খাওয়া-দাওয়া আড্ডার প্ল্যান রয়েছে।”
নুসরাতকে শেষ বড় পর্দায় দেখা গিয়েছে সেন্টিমেন্টাল ছবিতে। যা ছিল তার ও যশের হোম প্রোডাকশন থ🔯েকে তৈরি। পুরোপুরি বানিজ্যিক ঘরনার এই ছবি সেভাবে ব্যবসা করতে পারেনি বক্স অফিসে। শোনা যাচ্ছে, তাতে হার না মেনেই, নিজেদের প্রযোজনা থেকে দ্বিতীয় ছবি তৈরির প্রস্তুতিতে ব্যস্ত দুজনে।