গান গানে শেষ বিদায় জানানো হলো একুশে পদক পাওয়া বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী পাপিয়া সারোয়ারকে। শুক্রবার (১🦋৩ ডিসেম্বর) সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মরদেহ আনা হয়।
প্রিয় সংগীতশিল্পীকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা নিবেদন করতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছুটে আসেন ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। রবীন্দ্রসংগীতেই যিনি কাটিয়েছেন জীবনের বড় অংশ, সে সংগীত পরিবেশনে জানানো হয় তাকে শে🅺ষ বিদায়।
এসময় বরেণ্য এই গায়িকাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান বাংলাদেশ রবীন্দ্র শিল্পী সংস্থা, পাপিয়া সরোয়ারের নিজ হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান গীতিসুধ⛄া, স্বনন, সত্যেন সেন শিল্পগোষ্ঠীসহ বিভিন্ন সংগঠন ও বিশিষ্টজনেরা।
এ সময় রবীন্দ্রসংগীতে পাপিয়া সারোয়ারের যে অবদান, তা জাতি আজীবন মনে 🐼রাখবে বলে জানান শুভানুধ্যায়ীরা।
১৯৫২ সালে ২১ ꦇনভেম্বর বরিশালে জন্ম নেন পাপিয়া সারোয়ার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ছিলেন তিনি। পরে ১৯৭৩ সালে ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রসংগীতে ডিগ্রি নিতে ভারত যান এই গায়িকা।
১৯৬৬ সালে ছ𝄹ায়ানটে ওয়াহিদুল হক, সানজীদা খাতুন ও জাহেদুর রহিমে♑র কাছে এবং পরে বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে সংগীত দীক্ষা নেন পাপিয়া সারোয়ার। ১৯৯৬ সালে ‘গীতসুধা’ নামে একটি গানের দল প্রতষ্ঠা করেছিলেন তিনি।
দীর্ঘ সংগীত ক্যারিয়ারে রবীন্দ্র গা♔নের জন্য কোটি শ্রোতার ভালোবাসা পেয়েছেন পাপিয়া সারোয়ার। আধুনিক গানেও রয়েছে তার সাফল্য। ‘নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন নাইরে টেলিগ্রাম’ গানের মাধ্যমে বাংলা গানের শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি।
২০১৩ সালে বাং🎉লা একাডেমি থেকে রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন পাপিয়া সারোয়ার। ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ লাভ করেন। ২০২১ সালে পেয়েছেন একুশেꦛ পদক।