আজ বাংলা চলচ্চিত্রের অ্যাকশনধর্মী নায়ক জসিমের ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকী। কালের খেয়াতরিতে দীর্ঘ ২৪ বছর পেরিয়ে গেছে। তবু এখনো কো🌃টি মানুষের হৃদয়ে বেঁচে আছেন কিংবদন্তি এই নায়ক।
শুরুটা খল অভিনেতা হিসেবে হলেও পরবর্তীকালে ঢাকাইꦓ সিনেমার নায়ক হয়ে আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা পান। মূলত তার হাত ধরেই বদলে গিয়েছিল ঢাকাই সিনেমার চালচিত্র। বহুমাত্রিক উপভোগ্য অ্যাকশন দৃশ্য উ💟পহার দিয়ে তিনি জয় করে নিয়েছিলেন বাংলার মানুষের মন।
১৯৯৮ সালের ৮ অক্টোবর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে মাত্র ৪৮ বছ🦩র বয়সে মৃত্যু হয় তার। মৃত্যুর ২৪ বছর পেরিয়েও এতটুকু কমেনি তার জনপ্রিয়তা। আজও দর্শক তাকে স্মরণ করে।
১৯৭২ সালে ‘দেবর’ সিনেমা দিয়ে চলচ্চিত্রে ক্যারিয়ার শুরু জসিমের। এর দুই বছর পর ১৯৭৩ সালে প্রয়াত জ💮হিরুল হকের ‘রংবাজ’ ছবিতে খলনায়ক চরিত্রে অভিনয় করেন। এ ছবির অ্যাকশন দৃশ্যগুলো ছিল তার নিজের সাজানো। নিজস্ব প্রযোজনা সংস্থা ‘জ্যাম্বস ফাইটিং গ্রুপ’র সদস্যদের নিয়ে মন ভরানো সব অ্যাকশন দৃশ্য উপহার দেন তিনি। নায়ক রাজ্জাকের সঙ্গে ‘রংবাজ’ ছবিতে অভিনয় করে সবার নজরে আসেন জসিম।
তবে জসিমের জনপ্রিয়তার শুরু দেওয়ান নজরুল পরিচালিত ‘দোস্ত দুশমন’ চলচ্চিত্রে। এখানে তিনি ছিলেন মূল খলনায়ক। নায়ক হিস🌜েবে তিনি প্রথম হাজির হন সুভাষ দত্তের পরিচালনায় ‘সবুজ সাথী’ সিনেমায়। এরপর দারুণ, দুর্দান্ত, অসাধারণ একজন নায়কের পথচলার সাক্ষী হয়েছে ঢাক꧃াই সিনেমা।
নায়ক জসিম তার সমসাময়িক প্রায় সব নায়িকার সঙ্গেই জুটি বেঁধেছেন। তবে শাবানার সঙ্গে তার জুটি ছিল সুপারহিট। মজার ব্যাপার হলো, জসিম-শাবানা ভাইবোন চরিত্রে অভিনয় করেও সুপারহিট ছবি উপহার দিয়েছ🔥েন, 𒈔যা সচরাচর ঢাকাই ছবিতে দেখা যায় না।
নায়কসুলভ চেহারা তার 😼ছিল না। বেশ স্বাস্থ্যবান ছিলেন তিনি। এমন ফিগার নিয়ে এ দেশে আর কাউকে নায়ক হিসেবে সুপারস্টার হতে দেখা যায়নি। কেন এত জনপ্রিয় ছিলেন জসিম? অনেকেই বলেন সবার থেকে তাকে আলাদা করেছিল তার মন ভরানো অ্যাকশন দৃশ্যগুলো। অনেকে আবার বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে জসিম সিনেমায় হাজির হয়েছিলেন বঞ্চিত, শোষিত মানুষ ও বেকার যুবকদের প্রতিনিধি হিসেবে। যা খুব দ্রুতই তাকে সবার কাছে প্রিয় করে তুলেছিল।
জসিম দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ‘তুফান’, ‘জবাব’,𝄹 ‘নাগ-নাগিনী’, ‘বদলা’, ‘বারুদ’, ‘সুন্দরী’, ‘কসাই’, ‘লালু মাস্তান’, ‘নবাবজাদা’, ‘অভিযান’, ‘কালিয়া’, ‘বাংলার নায়ক’, ‘গরিবের ওস্তাদ’, ‘ভাইবোন’, ‘মেয়েরাও মানুষ’, ‘পরিবার’, ‘রাজা বাবু’, ‘বুকের ধ♉ন’, ‘স্বামী কেন আসামি’সহ দুই শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।
চ🍸িত্রনায়ক জসিম ১৯৫০ সালের ১♋৪ আগস্ট ঢাকার নবাবগঞ্জের বক্সনগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পারিবারিক নাম আবদুল খায়ের জসিম উদ্দিন।
ব্যক্তিজীবনে তিনি বিয়ে করেছিলেন চিত্রনায়িকা সুচরিতাকে। সেই সংসার খুব বেশি দিন টেকেনি। এরপর বাংল🐼াদেশের প্রথম সবাক চলচ্চিত্রের নায়িকা পূর্ণিমা সেনগুপ্তার মেয়ে চিত্রনায়িকা নাসরিনের সঙ্গে দ্বিতীয় ঘর বাঁধেন। সেই সংসারে রাতুল, সামী ও রাহুল নামে তিন পুত্রসন্তান রয়েছে জসিমের।