পর্দায়💟 চুম্বন দেখা আর বাস্তবে চুম্বন করা দুটা আলাদা জিনিস। আমরা তারকাদের কিছু সত্যিকারের অন্তরঙ্গ দৃশ্য দেখলেও অনেক গল্পই অজানা থাকে। যা সকলে ভীষণভাবে উপভোগও করে। কিন্তু প্রায়শই, এই ধরনের কিছু দৃশ্য গ্রহণের পিছনে কিছু অপ্রিয় গল্প থাকে।
এমনই একটি গল্প আর. মাধবন এবং বিপাশা বসুর জীবনেও আছে। এই জুটি `জোড়ি ব্রেকার্স` এ একসঙ্গে কাজ করেছিলেন। একটি চুম্বন দৃশ্যের চিত্রগ্রহণের সময় বিপাশাকে একটি খারাপ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। মাধবন একজন বড়মাপের ভোজনরসিক মানুষ। একই কারণে কয়েক বছর আগে তিনি অতিরিক্ত ওজনও বাড়িয়ে ফেলেছিলেন। এখন, অভিনেতা অনেক ফিট এবং অত্যন্ত সুস্থ।
তবে খাবারের প্রতি মাধবানের ভ🌺ালোবাসার কারণে বিপাশাকে একটি ঘৃণ্য অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। আর মাধবান এবং বিপাশা বসু তাদের ২০১২ সালের ছবি `জোডি ব্রেকার্স`র শ্যুটিং করছিলেন। টিমটি গ্রিক দ্বীপ মাইকোনোসে শ্যুটিং করছিল। যেহেতু টিমের লোকজন সেখানে ১২-১৩ দিন শ্যুটিংয়ের বাইরে ছিল, তারা সত্যিই ভারতীয় খাবার মিস করছিল।
সেখানে একদল পাঞ্জাবি ছেলে ছিল, যারা নিয়মিত শ্যুটিংয়ে আসত। তারা ইউনিটের ইচ্ছার কথা জানতে পেরে তাদের সুস্বাদু পাঞ্জাবি খাবার অফার করে। আর. মাধবান-সহ ইউনিটটি পাঞ্জাবি খাবারের আইটেম যেমন বাটার চিকেন, সরষো দা শাক, মাক্কে দি রোটি-সহ স্যালাড এবং পিঁয়াজ খেয়েছিল। সূত্রের খ🌞বর, খাবারগুলো এতটাই সুস্বাদু ছিল যে আক্ষরিক অর্থে পﷺ্লেট মুছে সাফ করে ফেলেছিল সকলে। বিশেষ করে মাধবান। যার পাত পুরো সাফ বলা চলে।
দুর্ভাগ্যক্রমে, একই সময়ে, মাধবান ও বিপাশা বসুর সঙ্গে একটি চুম্বন ও ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের শ্যুটিং করেছিলেন। প্রাথমিকভাবে, বিপাশার দৃশ্যটি নিয়ে আপত্তি ছিল। কারণ, তিনি মাধবানের স্ত্রী সরিতার ঘনিষ্ঠ, কিন্তু পরিচালক অশ্♌বিনী চৌধুরী তাকে দৃশ্যটি করতে রাজি করিয়েছিলেন। যাইহোক, চুম্বন দৃশ্যের পরপরই, বিপাশা তার মেক-আপ রুমে ছুটে যান এবং দীর্ঘ সময় আর বাইরে আসেননি। জানা যায়, মাধবান অনেকটা বে💯শি পেঁয়াজ খেয়েছিলেন।
যার ফলে চুম্বন দৃশ্যে শ্যুটিংয়ে রীতিমতো গা গুলিয়ে উঠেছিল তার। পুরো ঘটনাটিকে একটি রসিকতায় পরিণত করা হয়েছিল এবং ইউনিটও প্রচুর উৎসাহের সঙ্গে আনন্দ করে শ্যুটিং করেছিল।