একটি নাটক এবং টেলিভিশনে একটি আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কে ‘নেতিবাচক, ভ্রান্ত ও ক্ষতিকর’🤪 ধারণা এবং শব্দ ব্যবহারের অভিযোগে করা দুইটি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আগামী ১ নভেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল জ꧂ন্য 🌸দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। এজন্য ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত প্রতিবেদন দাখিলের নতুন তারিখ ঠিক করেন। গত ১১ আগস্ট বশির আল হোসাইন নামের এক প্রতিবন্ধী অধিকার কর্মী মামলা দুটির আবেদন করেন।
প্রথম মামলাটি গত ২৩ জুলাই ‘ঘটনা সত্য’ নামে একটি নাটক নিয়ে, যা ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚচ্যানেল আইয়ের ঈদুল আজহার আয়োজনে প্রচার করা হয়েছিল। এ মামলায় আসামি করা হয়, চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ, নাটকের চিত্রনাট্যকার মঈনুল সানু, পরিচালক রুবꦗেল হাসান, অভিনেতা আফরান নিশো, অভিনেত্রী মেহজাবিন চৌধুরীকে।
মামলার অভিযোগে বলার হয়, ‘🍒ঘটনা সত্য’ নাটকে দেখানো সংলাপে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, তার বাবা-মা ও পরিবারকে ‘ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।’
দ্বিতীয় মামলাটি করা হ꧟য়, চ্যানেল আইয়ের আলোচনা অনুষ্ঠানে গত ১১ জুলাইয়ের ‘টু দ্য পয়েন্ট’ এর পর্ব নিয়ে, যেখানে একজন আলোচকের কথায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে ‘নেতিবাচক ধারণা’র প্রকাশ ঘটেছে বলে অভিযোগ করা হয়। এ মামলায় আসামি করা হয়েছে, ফরিদুর রেজা সাগর, শাইখ সিরাজ, অনুষ্ঠান পরিকল্পনাকারী জাহিদ নেওয়াজ খান, প্রযোজক রাজু আলিলম, উপস্থাপক সোমা ইসলাম এবং আ💙লোচক হিসেবে উপস্থিত থাকা ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনকে।
মামলায় বাদীর অভিযোগ, ‘টু দ্য পয়েন্ট’ অনুষ্ঠানে আর্জেন্টিনা বনাম ব্রাজিলের খেলা প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনের একটি মন্তব্য নিয়ে। অভিযোগ করা হয়, ওই টকশোতে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আমার নিজের ছেলেটারে প্রতিবন্ধী বানাইয়া রাইখা আমি এখন আর্জেন্টিনার ছেলে এবং ব্রাজিলের ছেলে নিয়া লাফাচ্ছি। লাফানো ঠিক আছে। আমরা অনেক ছোটবেলা থেকে ম্যারাডোনার ভক্ত, কিন্তু নিজের ছেলেটারে এভাবে প্রতিবন্ধী বানাবো? দেশের ফুটবল খেলার মানের অবনতি, দুর্বল ব্যবস্থাপনা, ব্যর্থতা ও অবস্থার সঙ্গে তুলনা করে ‘প্রতিবন্ধী বানাইয়া রাইখা’ এবং ‘এভাবে প্রতিবন্ধী বানাবো’ শব্দ ব্যবহারের মাধ্যমে গণমাধ্যমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কে ‘নেতি🐼বাচক, ভ্রান্ত ও ক্ষতিকর’ ধারণা দেওয়া হয়েছে বলে বাদীর অভিযোগ।