রান্না করা ভাতে পোকা, মুরগির মাংসে পালকসহ পচা খাবার রান্না করে খাওয়ানো⛦র অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কবি জসীমউদ্দীন হলের ক্যান্টিনে তালা লাগিয়ে দেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে এ ঘটনার পর থেকে পরবর্তী নির্দেশ নাꦑ দেওয়া পর্যন্ত ক্যান্টিন বন্ধ রেখেছে হল প্রশাসন।
সোমবার (২৯ আগস্ট) সরেজমিনে গিয়ে হলের ক্যান্টিন বন্ধ পাওয়া যায়। এদিকে ক্যান্টিন বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়ছেন হলটির আবাসিক শিক্ষার্থীরা। হলের শিক্ষার্থীদের এখন অন্য হলগুলꦕোর ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হয় সংবাদ প𒁏্রকাশের। তারা জানান, ক্যান্টিন বন্ধ থাকা অন্য হলগুলোতে গিয়ে খেতে হচ্ছে। অনেক সময় অন্য হলগুলোতে পর্যাপ্ত খাবার না থাকায়, দূরের হলগুলো কিংবা হল ক্যান্টিনের💃 আশেপাশের দোকানগুলোতে খেতে হয়।
হলের ক্যান্টিনে তালা, শিক্ষার্থীদের কষ্ট লাঘবে কী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে কবি জস♋ীমউদ্দীন হল শাখা ছাত্রলীগ। এ প্রসঙ্গে কথা হয় হলটির শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতার সঙ্গে।
কবি জসীমউদ্দীন হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “হলের শিক্ষার্থীদের কষ্টের কথা বিবেচনায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের হয়ে আমরা (ছাত্রলীগ) হল প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। ৫ থেকে ৭ দিনের ম♛ধ্যে এ সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে বলে হল প্রশাসন আমাদের জানিয়েছে।”
এদিকে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ সুমন খলিফা বলেন, “প্রশাসন পুরোপুরি বিষয়টি দেখভাল করছে। তাছাড়া হল প্রশাসন যে দায়িত্ব নিয়েছেন, সবগুলোই শিক্ষার্থীদের অনুকূলে রয়েছে। আশা রাখছি, হয় তো দুই-একদিনের মধ্যে বিষয়টি সমাধান করে ফে𝓡লবে হল প্রশাসন।”
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়টির কবি জসীমউদ্দীন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দ꧙ুর রশিদের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, “খাবারের সংকট কিছুটা কাটানোর জন্য আশপাশের হলগুলোর প্রাধ্যক্ষকে অনুরোধ করেছি, তারা যেন তাদের হলে আমাদের ছাত্রদের প্রবেশাধিকার দেন। তা ছাড়া জরুরি ভিত্তিতে ক্যাটারার (খাদ্যের জোগানদার) নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু করেছি; আশা করছি খুব দ্রুত আমরা নিয়োগ করতে পারব।”