চলতি রোপা আমনের মৌসুমে অনাবৃষ্টির কারণে গত মৌসুমের তুলনায় সেচ খরচ বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। অপরদিকে সার-ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধিতে দিশেহারা যশোরের শার্শা উপ🎉জেলার আমন চাষিরা।
শার্শা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে শার্শা উপজেলায় ২০ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিলো যা 🦹ছাড়িয়ে চলতি মৌসুমে আরও বৃদ্ধি 🎃পেয়েছে। তবে গত বছরের তুলনায় এবার সার ও ডিজেলের দাম বৃদ্ধিতে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে।
উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের ছোট নিজামপুর গ্রামের কৃষক ইমামুল হক জানান, সার ও ডিজেলের দাম বা🎶ড়ায় চাষাবাদের খরচও বেড়েছে। আবার অনাবৃষ্টির কারণে জমিতে খরা সৃষ্টি হচ্ছে। আমন চাষে অন্যবার জমিতে বাড়তি কম সেচে হলে যায় কিন্তু এই মৌসুমে তা সম্ভব না। ফলে সেচের জন্য বাড়তি খরচ হচ্ছে। সে হিসাবে ধানের উৎপাদন খর🎃চই উঠবে কিনা বলা যাচ্ছে না।
উপজেলার ডিহি ইউনিয়নের তেবাড়িয়া গ্রামের কৃষক শামছুর রহমান বলেন, “খেয়ে পরে বাঁচার তাগিদে ডিজেল ও সারের বাড়তি দাম মাথায় নিয়ে চাষাবাদ করছি। আর ভরা মৌসুমে বৃষ্টি না থাকায় জমিতে সেচ দিয়ে পানি দিতে হচ্ছে। এতে খরচও হচ্ছে বেশি। এমন অবস্থা থাকলে চ💖াষিদের পক্ষে চাষাবাদ চালিয়ে যাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়বে।”
আরও কয়েকজন চাষি দাবি করেন, চাষের প্র🍷য়োজনীয় সকল কিছুর দাম বে🔜ড়েই চলেছে। জমিতে ধান রোপণ থেকে কাটা পর্যন্ত সবকিছুতেই এবার খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন অবস্থায় সরকারের প্রণোদনা বা সহযোগিতা না পেলে অনেকে ধান চাষ ছেড়ে দেবেন।
এই বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ মণ্ডল বলেন, “সার ও ডিজেলের দাম বাড়ার কারণে কৃষকের চাষাবাদে উৎপাদন খরচও বেড়ে যাচ্ছে। উপজেಞলায় ২০💧 হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে।