• ঢাকা
  • সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


সংস্কারের অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে নাওডাঙ্গা জমিদারবাড়ি


সুজন মোহন্ত, কুড়িগ্রাম
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২২, ১১:২৬ এএম

অযত্ন, অবহেলা আর সংস্কারের অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে কুড়িগ্রামের নাওডাঙ্গা জমিদারবাড়িটি। ই🐲তিমধ্যে প্রাচীন এই স্থাপনার অনেক অংশ নষ্ট হয়ে গেছে। নাওডাঙ্গা জমিদারবাড়ি একটি ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন স্থাপনা। কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলা থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে এই জমিদারবাড়ির অবস্থান।

স্থ𝓡ানীয় বাসিন্দা ও ইতিহাসবিদদের কাছ থেকে জানা যায়, অবিভক্ত ভারতবর্ষ প্রতিষ্ঠার আগে নাওডাঙ্গা পরগনার তৎকালীন জমিদার বাহাদুর প্রমদারঞ্জন বক্সী বাড়িটি নির্মাণ করেন। তার শাসনামলে এই পরগনার অধীন ছিল কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বিদ্যাবাগীশ, শিমুলবাড়ী, তালুক শিমুলবাড়ী ও কবির মামুদ। পাঙ্গা এলাকায় এ জমিদারের আরেকটি জোত ছিল। ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে ‘বাহ𓆏াদুর’ খেতাব পেয়েছিলেন জমিদার প্রমদারঞ্জন বক্সী।

জমিদার প্রমদারঞ্জন বক্সীর তিন ছেলে এবং এক মেয়ে ছিল। তার বড় ছেলে আইন ব্যবসা এবং ছোট ছেলে প্রকৌশলী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হলেও মেজ ছেলে পড়ালেখায় ভীষণ কাঁচা ছিলেন। সে কারণে জমিদারি সামলানোর দায়িত্ব তিনি মেজ ছেলেকেই দেন। মেজ ছেলে বিশ্বেশ্বর প্রসাদ বক্সী জমিদারি সামলাতে শুরু করেন। জমিদারি বুঝে দিয়ে প্রমদারঞ্জন বক্সী তার অন্য দুই ছেলের সঙ্গে কুচবিহারে থাকতে শুরু করেন। শেষ জমিদার হিসেবে বিশ্বেশ্বর প্রসাদ বক্সী আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন তার জমিদারি প্রথাটি টিকিয়ে রাখতে। কিন্তু জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হয়ে গেলে তিনিও কুচবিহারে পাড়ি জমান। তিনি চলে যাওয়াতে নাওডাঙ্গা জমিদারবাড়ি একদম অভিভাবকশূন্য হয়ে পড়ে। একসময় জমিদারবাড়িতে রাণীর গোসলখানা, শোবার ঘর, কয়েদখানাসহ আরও বেশ কয়েকটি ঘর থাকলেও বর্তমানে সেসব বিলুཧপ্ত। স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে শুধু দাঁড়িয়ে আছে জমিদার ভবনের ১০০ মিটার উঁচু প্রবেশদ্বারটি।

এছাড়া জমিদারবাড়ির পাশে রয়েছে ত্রিশ ফুট উঁচু শিব মন্দির। এখনো 𝓰অনেক সনাতন ধর্মের মানুষ শিবমন্দিরে আসেন পূজা-অর্চনা করতে। এ ছাড়া জমিদারবাড়ির ভেতরে রয়েছে একটি দুর্গামন্দির। দুর্গামন্দিরের সংস্কারের পর থেকে সনাতন ধর্মের মানুষজন এখানে গীতা পাঠের আসরে ভিড় করেন। একসময়ের জৌলুশময় জমিদারবাড়ি এখন বিলুপ্তির পথে। ইট-চুন-সুরকি দিয়ে নির্মিত এই জমিদারবাড়ির পশ্চিম দিকের দোতলা ভবন ভেঙে গেছে। এ ছাড়া বেশির ভাগ দালানেরই ছাদ ন▨েই।

শত বছরের পুরোনো এ 🌠স্থাপনাকে আশ্রয় করে বেড়ে উঠছে কিছু অপ্রয়োজনীয় গাছ। তাই সংস্কার আর সংরক্ষণের অভাবে ফুলবাড়ীর মানচিত্র থেকে ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে নাওডাঙ্গা জম🎃িদারবাড়ি নামে এ প্রাচীন স্থাপনাটি।

Link copied!