• ঢাকা
  • সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে আনন্দিত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা


ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১, ০১:১৮ পিএম
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে আনন্দিত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

দীর্ঘ প্রায় ১৮ মাস পর ক্লাসে ফিরতে পেরে আনন্দিত শিক্ষার্থীরা। শিক্ষক-𝕴শিক্ষ♉ার্থীদের পদচারণায় প্রাণ ফিরছে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণেও।

রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে ময়মনসিংহের বিদ্যাময়ী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং জিলা স্কুলের শিক𒉰্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন শিক্ষকরা।

গত বছর ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক෴্ত হওয়ার পর ১৭ মার্চ সকল স্কুল বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। এরপর শিক্ষার্থীদের সুরক্ষไার কথা চিন্তা করে দফায় দফায় বাড়ানো হয় ছুটির মেয়াদ। সর্বশেষ ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধ ছিল সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

পরিস্থিতি বিবেচনায় ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ায় প্রিয় প্রাঙ্গণে ফিরতে পেরেছꦰে শিক্ষার্থীরা। করোনার সংক্রমণের মধ্যে সন্তানরা বাইরে বের হওয়ায় অভিভাবকরা কিছুটা চিন্তিত হলেও সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জা♋নিয়েছেন তারা।

বিদ্যাময়ী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী তাবাসসুম তহুরা বলেন, “দীর্ঘদিন পর বিদ্যালয়ে এসে শিক্ষকদেরꦛ এমন ভালোবাসা পাব তা কখনও কল্পনা করেনি। মনে হচ্ছে আজ থেকে নতুন জীবন শুরু হয়েছে। সৃষ্টিরকর্তার কাছে প্রার্থনা করি পরিস্থিতি যেন স্বাভাবিক থাকে।”

সাবরিনা নওরীন নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, “এক বছর আগে চতুর্থ শ্রেণীতে ভর্তি হলেও আজকে ক্লাসে আসার সুযোগ পেয়েছি। নিজের স্কুলটাকে দেখতে পেরে ভালো লাগছে। তবে করোনার মধ্যে স্কুলে আসায় বাবা-মা একটু চিন্তিত। আশা করছি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে কিছু হবে 🐻না।”

জিলা স্কুলের শিক্ষার্থী ফাহাদ নূর বলেন, “স্কুলে ঢুকতেই শিক্ষকরা তাপমাত্রা মেপেছে। পরে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ক্ল🃏াসে তিনফুট দুরত্বে বসেছি। সবকিছুই নতুন মনে হচ্ছে। বাসায় বসে পড়াশোনা না হলেও এখন মনে হচ্ছে পড়ায় মন বসবে।”

অভিভাবক সিতা রানী পাল বলেন, “অনেক দিন পর মেয়েকে নিয়ে স্কুল আসতে পেরে ভালো লাগছে। ছেলে-মেয়েদেরও ভালো সময় কাট𒐪বে। সবকিছু খোলা থাকলেও শুধু স্কুলটাই বন্ধ ছিল। আমরা বিশ্বাস করি ছেলে-মেয়েদের কিছু হবে না। ওরা সবসময় স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চলে।”

রফিকুল ইসলাম নামে আরেক অভিভাবক বলেন, “যদিও আমেরিকায় শিক্ষার্থীরা আক্রান্ত হচ্ছে শুনে ভয় লাগছে। তবে সর্বোপরি সরকারের এমন সিদ♋্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই। ছেলে-মেয়েদের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণে শিক্ষকরা একটু দায়িত্বশীল হবে এটাই আশা করছি।”

বিদ্যাময়ী সরকারী বালিকা উচ্চ ব🌳িদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসিমা আক্তার বলেন, “মেয়েদের দীর্ঘদিন পর কাছে পেয়ে অমরা আপ্লুত। আমরা প্রতি বছর নতুন শিক্ষার্থীদের বরণ করি। করোনার কারণে এবছর করতে পারিনি, তাই আজ তাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নিচ্ছি।  এমন পরিবেশে শিক্ষার্থীরাও খুশি। প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী না থাকলে ভালো লাগে না।”

নাসিমা আক্তার আরও বলেন, “প্রতিষ্ঠানে ২ হাজার ২০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে হাত ধোয়া, ম꧅াস্ক, হ্যান্ডসেনিটাইজারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে ঢোকার সময় তাদের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে। সরকারের সমস্ত নির্দেশনা মেনে বিদ্যালয় পরিচালনা করছি।”

জিলা স্কুলের প্র😼ধান শিক্ষক মোহসিনা ✤খাতুন বলেন, “ছেলেদের তিনফুট দূরত্বে বসানো হয়েছে। তাদের মনকে উৎফুল্ল রাখার জন্য খেলাধুলারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিফট ভাগ করে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। আগে চার শিফটে ক্লাস করানো হলেও এখন আট শিফট করা হয়েছে।”

Link copied!