হবিগঞ্জের মাধবপুরে জনপ্রতিনিধিকে টাকার মালা পরিয়ে সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন এক উপ-পরিদর্শক (এসআই)। এ 𓄧ধরনের একটি ছবি স🉐ামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়ানোর পর থেকে বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা। এর আগে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে মালা পরিয়েছিলেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বুধবার (৫ জানুয়ারি) উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে উপজেলার বাঘাসুরা ইউনিয়নে ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিমে আইনৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব পালন করেন এসআই মুমিনুল ইস🤪লাম।
নির্বাচন🔯ের পরদিন (৬ জানুয়ারি) ওই ইউনিয়নে যান মুমিনুল ইসলাম। এ সময় তিনি বিজয়ী প্রার্থীদের গলায় ফুলের ও টাকার মালা পরিয়ে দেন। পুলিশ সদস্যের এমন কর্মকাণ্ডে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষ꧂োভ দেখা দিয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের (কালিকাপুর) সদস্য পদে বিজয়ী প্রার্থী তাজুল ইসলাম মহালদারক꧋ে তার নির্বাচনী কার্যালয়ে গিয়ে টাকার মালা পরিয়ে দেওয়ার একটি ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ছবিটি ভাইরালের পর বিষয়টি নিয়ে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় ফেসবুক ব্যবহারক𓃲ারীদের মধ্যে। অনেকে পুলিশকে বিরুপ মন্তব্য করেন।
খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, ইউপি সদস্য তাজুল ইসলামকে মা❀লা পরিয়ে দেওয়ার আগে নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন আহমেদকেও টাকার মালা পরিয়েছেন তিনি।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পুলিশ সদস্য হিসেবে তিনি একজন বিজয়ী প্রার্থীকে মালা পরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত এসআই মুমিনুল ইসলাম বলেন, “প্রতিদিন আমাদেরকে অনেকগুলো বিষয় নিয়ে কাজ করতে হয়। এর মধ্যে দু’একটি কাজ ভুꦦল হয়ে যায়। আপনারা আমাকে একটু দেখে নিয়েন।”
মাধবপুর থানার ভার🍸প্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “সামাজিকতার খাতিরে এটা করা যায়। তবে পু🦹লিশের পোষাক পরে টাকার মালা পরানোটা তার ঠিক হয়নি।”
মাধবপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মহস💜িন আল মুরাদ বলেন, “পুলিশ সদস্য হিসেবে তিনি মালা দিতে পারেন কিনা সেটি আমার জানা নেই। আমি বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিয়ে আপনাকে জানাচ্ছি।”
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট ত্রিলোক কান্তি চৌধুরী বিজন বলেন, “আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য হিসেবে তিনি এটা করতে পারেন না। এটা একদম অনৈতিক। তার কাছে সবাই সমান। ত𝔉াহলে তিনি কেন একজনের গলায় টাকার মালা পরাবেন?”