গাজীপুরের কালীগঞ্জে শিরিন বেগম (৩২) নামের এক প্রসূতির ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগে হাসপাতালের🌱 পর🍌িচালক ও তার ছয় সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বুধবার (২৪ আগস্ট) সকালে গ্রেꦚপ্তারের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন।
এর আগে গত রোববার (২১ আগস্ট) দিবাগত রাতে কালীগঞ্জের জনসেবা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগ🀅নস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। তবে বিষয়টি জানাজানি হয় সোমবার।
ভুক্তভোগী শিরিন বেগম উপজেলার তুমলিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ চুয়ারিয়াখোলা গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আব🐼্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন জান𒁃ান, ঘটনার পর থেকে হাসপাতালের মালিক🥃 ও তার সহযোগীরা পলাতক ছিলেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বন্যা বেগম ও তার ছয় সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মারা যাওয়া প্রসূতির ননদ হোসনে আরা বলেন, রোববার সকালে আমার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী হঠাৎ ব্যথা অনুভব করেন। এ সময় একই এলাকার বাসিন্দা জনসেবা হাসপাতাল𒊎ের পরিচালক বন্যা বেগমের কাছে যাই পরামর্শের জন্য। তিনি তার হাসপাতাল থেকে দুজন নার্স পাঠান রোগী নিয়ে যাওয়ার জন্য। পরে সেখানে রোগী নিয়ে গেলে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিজার করেন ওই হাসপাতালের চিকিৎসক মাসুদ। এ সময় প্রসূতি একটি পুত্রসন্💟তানের জন্ম দেন।
অপারশেন করার পর চিকিৎসক জানান, রোগীর জরায়ু ফেটে গেছে। প্রচুর ব্লিডিং হচ্ছে, ‘বি’ পজিটিভ রক্ত লাগবে। তাদের কথামতো ‘বি’ পজিটিভ রক্ত জোগাড় করে রোগীকে দুই ব্যাগ রক্ত পুশ করা হয়। কিন্তু তাতেও রোগী সুস্থ হচ্ছিল না। শরীর থেকে রক্ত বেরিয়ে আসছিল। পরে যখন পুনরায় রোগীর রক্তের গ্রুপ পরীক্🍸ষা করা হয়, তখন জানা যায় রোগীর রক্তের গ্রুপ ‘এ’ পজিটিভ।
হোসনে আরা আরও বলেন, এর মধ্যে আমাদের ‘এ’ পজিটিভ রক্ত জোগাড় করতে বলেন। এখন আবার ‘এ’ পজিটিভ রক্ত কেন, জানতে চাইলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলে ‘কোনো সমস্যা নেই’। পরে আমরা তড়িঘড়ি করে ‘এ’ পজিটিভ রক্🅰ত সংগ্রহ করি। কিন্তু ‘এ’ পজিটিভ রক্ত পুশ করার কিছুক্ষণ পরই রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সন্ধ্যা পর্যন্ত দেখে রাত ৮টার দিকে রোগীকে ঢাকায় স্থানান্তরের পরামর্শ দেয়।
চিকিৎসকের কথামতো রোগী নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় রওনা দেওয়া হয়। এ সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দুই ব্যাগ ‘এ’ পজিটিভ রক্তের ব্যাগ রোগীর সঙ্গে দিয়ে দেয়। ঢাকায় নেওয়ার পথে রোগীর কোনো সꦛাড়াশব্দ না পেয়ে উত্তরার একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগীকে মৃত অবস্থায় আ꧙না হয়েছে বলে জানান।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এস এম মনজুর-এ-এলাহী জানান, জনসেবা জেনারেল হাসপাতাল অ💫্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কাগজপত্র আপডেট নেই। তাদের পুরোনো সব কাগজপত্র মেয়াদোত্তীর্ণ।