দরজায় কড়া নাড়ছে বাঙাল🔯ি সনাতন ধর্মের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এই পুজোয় বাঙালির ঐতিহ্য নারকেলের তৈরি নাড়ু ও গুড়ের তৈরি মোয়া, মুড়কি। এসবের প্রধান উপকরণ নারকেল, গুড় ও চিনি।
মাস খানেক আগে ক্রেতার নাগালের এসব সামগ্রী হাতের নাগালে থাকলেও এখন আকাশ ছোঁয়া দাম। পূজার নাড়ু তৈরির এসব উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কুড়িগ্রামের পূজারির🍃া। বর্তমানে কুড়িগ্রামের বাজারগুলোতে প্রতি জোড়া নারকেল ২০০ থেকে ২৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ মাস খানেক আগে প্রতি জোড়া নারকেল ১৪০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হতো। এছাড়াও ৯০ টাকা দরের গুড় কেজি প্রতি 𓃲১২০ টাকা, ৮০ টাকার খই ১২০ টাকা, ৫০ টাকার চিড়া ৬০ টাকা দরে ও চিনি ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে মুড়ির দাম স্বাভাবিক রয়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, জোগান কম থাকায় এবং চাহিদা বেশি থাকায় এཧ বাড়তি দাম হꦜাঁকা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার ꧋(২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে কুড়িগ্রাম জিয়া আদর্শ বাজার, পৌর বাজার, ফলের আড়তগুলো ঘুরে দেখা যায়, বাড়তি দামের কারণের বিভিন্ন মণ্ডপ ও মন্দিরের পূজারিরা চাহিদার তুলনায় খুব সীমিত পরিমাণে বাড়তি দাম দিয়ে𝔍 নাড়ুর এসব উপকরণ কিনছেন।
শহরের ত্ꦰরিনয়নী সার্বজনীন পূজামণ্ডপের সভাপতি শ্রী নিত্যেন দাস বলেন, “পূজার মুড়কি বানাতে খই ও গুড় প্রয়♓োজন। যেখানে ৩-৪ কেজি নিতাম, আজ গুড় ও খই ১ কেজি করে কিনলাম।”
কুড়িগ্রাম কেন্দ্রীয় কালী মন্দিরের সদস্য শ্রী জয়ন্ত আগরওয়াল বলেন, “পুজোর ঘটের জন্য ও নাড়ু তৈরির জন্য আমাদের ২৫ জোড়া নারকেল প্রয়োজন। প্রতি জোড়া ১৬০ টাকার নারকেল ২২০ টাকা করে চাইছে। এখন বাধ্য হয়ে ব🥂াড়তি দামে ২০ জোড়া নারকেল কিনতে হবে।”
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পাইকার ব্যবসায়ীরা গাছ মালিকদের কাছ থেকে প্রতি জোড়া নারকেল ১২০ থেকে ১৩০ টাকা করে কিনছেন। সেটি খুচরা বাজারে হাত ঘুরে গিয়ে বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৪০ টাকায়।
অন্যদিকে, সাধারণꦡ গুড় ৮০ দরে বিক্রি হলেও নাড়ু ও মোয়ার জন্য বিশেষ গুড় বলে ১২০ টাক💜া দরে সেই গুড় বিক্রি হচ্ছে।
কুড়ি✤গ্রাম জিয়া বাজারের ফল ব্যবসায়ী নন্দন সাহা বলেন, “আমরা পাইকারদের কাছ থেকে বাড়তি দাম দিয়ে নারকেল কিনি, সেই তুলনায়🦄 কিছুটা বেশি দামে আমাদের বিক্রি করতে হচ্ছে।”